স্টাফ রিপোর্টার, জাস্টনাউবিডি২৪
এবার বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলায় দুই শিবির নেতাকে নিয়ে আশংকা দানা বেঁধেছে। কালীগঞ্জ উপজেলা শিবির সভাপতি আবু জরের পরিবার অভিযোগ করে বলছে, তাদের ছেলেকে গত ১৮ মার্চ ডিবি পুলিশের একটি দল ধরে নিয়ে যায়। এরপর থানায় যোগাযোগ করা হলেও বরাবর গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিলো পুলিশ। এরই ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় ২৫ মার্চ তারিখে একই জেলায় আরেক শিবির নেতা মোহাম্মদ শামীমকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।
পরপর দুটি গুমের ঘটনায় আতংকিত হয়ে পড়েন নিখোঁজ দুই তরুনের স্বজন। সন্তানের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মলন করে নিখোঁজদের পরিবার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিখোঁজ নেতার এক আত্মীয় জাস্ট নাউ বিডি ২৪ ডট কমের সাথে ফোনে কথা বলেন। তিনি জানান ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে সংশ্লিষ্ট ডিবি পুলিশের সাথে যোগাযোগের পর ওই শিবির নেতাদের ‘গোপন স্থানে’ আটক রাখা হয়েছে বলে তারা নিশ্চিত হন। পরে তাদের মুক্তি কিংবা আদালতে হাজিরের শর্তে পুলিশের সাথে বিভিন্ন রকম চাহিদা নিয়ে বার্গেনিং চলছিলো। এরই মাঝে আজ হঠাতই ঐ সূত্রটি তার পরিবারকে নিজেদের অপারগতার কথা জানিয়ে দেয়।
'তারা বলেছে তাদের পক্ষে আর কিছু করা সম্ভব নয়। আজ রাতেই হয়তো তাদেরকে কিছু একটা করা হবে। আমাদেরকে মানসিক ভাবে প্ত্রস্তুত থাকতে বলে তারা ফোন কেটে দেয়' বলছিলেন নিখোঁজ শিবির নেতার ঐ আত্মীয়।
নিখোঁজ দুই শিবির নেতা আবু জর ও শামীম (বাম থেকে) |
এদিকে জেলায় পরপর দুটি চাঞ্চল্যকর গুমের ঘটনার পর, আজ রাতেই ঐ শিবির নেতাদের ক্রসফায়ারে হত্যা করা হতে পারে, এমন প্রচারনা ঝিনাইদহ শহরে ‘টক অব দ্যা টাউনে’ পরিনত হয়েছে। স্যোশাল মিডিয়ার বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে এ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা সমালোচনা। অনেকেই এই ধরনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে পোস্ট করছেন।
উল্লেখ্য, প্রায় এক দশক থেকে বাংলাদেশে বিরোধী দলের ওপর সরকারী আইন শৃংখলা বাহিনীর অব্যাহত খুন ও গুমের অভিযোগ উঠে আসছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী ক্রসফায়াের নামে বিরোধী নেতা কর্মীদের খুনের ঘটনায় বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করে সরকারের তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছে।
-জাস্টনাউবিডি২৪
এই সরকার জুলুমের শেষ সীমায় পৌছে গেছে। এবার পরিনতি দেখার পালা।
ReplyDeleteএতো বাড়াবাড়ি আল্লাহ সৈহ্য করবেন না।
ReplyDeleteএভাবে বাংলাদেশটাকে শেষ করে দিলো! দিল্লির গোলাম!!!
ReplyDeleteছেলে গুলোকে আল্লাহ হেফাজত করুন।
ReplyDelete