বিশেষ প্রতিবেদন,
জাস্টনাউবিডি২৪
টেলিভিশনের এক সময়ের দর্শকপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘এইসব দিনরাত্রি’ ও ‘বহুব্রীহি’র জনপ্রিয় অভিনেত্রী লুৎফুন্নাহার লতা এবার হিজাবধারী নারীদের ওপর চটলেন। বাংলাদেশে হিজাবের ব্যবহার বৃদ্ধির কথা তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এসময়, প্রবাসী লতা তার মৃত্যুর পর তার লাশ দেশের মাটিতে “টানাটানি’ না করার অভিপ্রায় প্রকাশ করেন।
“অভিমান এতো তীব্র হয়েছে যে সিদ্ধার্থ কে বলেছি আমি মরে গেলে লাশ নিয়ে আর টানাটানি করে দেশে নেবার দরকার নেই। যেখানে মরি সেখানেই মাটি চাপা দিয়ে একটা শিউলির চারা লাগিয়ে রাখতে”- লিখেছেন লতা।
বাংলাদেশে হিজাবের ব্যবহারকে তার 'নিজের জন্য লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ জন্য ‘বুক ভাঙ্গা ব্যাথ্যা’ অনুভব করেন লতা।
হিজাবকে ‘বাঙ্গালী সংস্কৃতিতে কালিমা লেপন’ আখ্যা দিয়ে ১৯৭১ এর আত্মাহুতির কথা তুলে ধরতেও ভুল করেননি প্রবাসী এই অভিনেত্রী।
আফসোস করে লিখেছেন, ‘এরই জন্যে কি ঠিক ওদের বয়সি মেয়েরা ১৯৭১ এর নয় মাস মিলিটারী ক্যাম্পের নির্মম নির্যাতন সয়েছে! ওদের বয়সি ছেলে গুলো দেশ স্বাধীন করতে গিয়ে পাকিস্তানি হায়েনাদের হাতে নির্মম ভাবে আত্মাহুতি দিয়েছে! এরই জন্যে!!!!!’
হিজাব ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় একে ‘তান্ডব’ বলে মন্তব্য করেন লতা।
'হিজাবের তান্ডবকে' দেশব্যাপী বাঙ্গালী সংস্কৃতিতে কালিমা লেপন বলে ক্ষোভ দেখান লুৎফুন্নাহার লতা।
এদিকে লতার মন্তব্যের জেরে চরম বিপরীতমূখী অবস্থান নিতে দেখা গেছে অনলাইন বাঙ্গালী কমুনিটিকে। লতার ফেসবুকে মন্তব্যের ঘর সীমাবদ্ধ থাকায় অনেকেই মতামত প্রকাশ করেন পোস্ট শেয়ারের মাধ্যমে।
হিজাবের বিরোধীতা করে উজ্জল কান্তি সেন লিখেছেন ‘ধিক্কার জানাই’।
দেবাষীশ কুমার নামের একজন বাঙ্গালী লিখেছেন, “এই বেয়াদব মেয়েরা তোদের কি বিবেক নেই। আবার হিজাব পড়েছেন কুলাঙগার”
রবিউল আউয়াল লিখেছেন “(লজ্জা) শুধু আপনার নয়। পুরো বাঙ্গালীজাতির।”
লেখক সেলিম সামাদ লিখেছেন, “উফ! হিজাবীদের উৎপাত বাড়ছে তো বাড়ছেই।”
“হ্যা আপা এখন পোশাক দিয়েই সারা দেশে সং্খ্যালঘু মেয়েদের আলাদা করা যায়”- বিশিষ্ট মঞ্চ নাট্য লেখক রুমা মোদাক লিখেন।
লতার পোস্টে ‘হিজাবকে আরবদের পোশাক’ বলেও অভিহিত করেছেন কেউ কেউ।
বিপরিত অবস্থান নিয়ে ইমরান আহমেদ লিখেছেন, “হিজাবের তান্ডব!! এই মহিলার কথায় মনে হয় মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে হিজাবের বিরুদ্ধে! এসব গন্ডমূর্খরাই ধর্মীয় সহিংসতার যোগান দেয়।”
পোস্টের শেয়ারে মন্তব্যের ক্ষেত্রে বেশিরভাগকেই লতার চরম বিরোধীতা করতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে হিজাব বৃদ্ধিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগও ‘হুমকি’ হিসেবে দেখে থাকে। দলটির সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর পুত্র এবং প্রভাবশালী তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় দেশে হিজাব বিক্রি বৃদ্ধির কথা উল্লেখ্য করে ইতিমধ্যেই বিদেশী সংবাদ মাধ্যমে নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন।
এছাড়া মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে ‘জঙ্গিবাদী শিক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে চিত্রিত করে’ ঐ নিবন্ধে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর মাদ্রাসা পড়া সদস্যদের সংখ্যাও প্রকাশ করেন তিনি। একে দেশের ‘সেকুলার শক্তির জন্য উদ্বেগজনক’ হিসেবে তুলে ধরেন জয়। তাছাড়া ইসলামী পরিবেশ রক্ষাকারী প্রতীষ্ঠান গুলো বিশেষত ইসলামী ব্যাংক-বীমা এবং হাসপাতালকেও হুমকি হিসেবে আখ্যা দেন ঐ নিবন্ধে।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘু সেকুলার ও সংখ্যাগুরু ধার্মিক সমাজের মাঝে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। মূলত শাহবাগ কেন্দ্রীক বাঙ্গালী নাস্তিক ও সেকুলার গোষ্ঠীর অবস্থান গ্রহণের পর ঐ গোষ্ঠীর চরম ধর্মবিদ্বেষী অবস্থানও স্পষ্ট হয়ে যায়।
পাল্টা হিসেবে ধার্মিক শক্তির স্বমন্বয়ে হেফাজতে ইসলাম নামক শক্তিশালী সামাজিক আন্দোলনের উত্থান ঘটে তখন। মূলত এরপরই সেকুলার ও নাস্তিক শ্রেণীকে তাদের আদর্শিক প্রশ্নে অনেকটাই আত্মগোপন অবস্থানে চলে যেতে দেখা যায়।
এমনকি শাহবাগ আন্দোলনের মুখপাত্রকে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও পোষাকী সাজে উপস্থিত হয়ে নাস্তিক পরিচয় গোপন করতে তৎপর দেখা যায়। শক্তিশালী হেফাজতে ইসলামের গণউত্থানের পরিপেক্ষিতে বাংলাদেশের সেকুলার ও নাস্তিক গোষ্ঠীর লুকোচুরি অবস্থানের মাঝেই প্রবাসী অভিনেত্রী লুৎফুন্নাহার লতার প্রকাশ্য ধর্মবিদ্বেষী অবস্থান ঘিরে আবারও অনলাইনে ধর্মবিদ্বেষী বাঙ্গালীদের কিছুটা সরব হতে দেখা গেল এদিন।
১৯৯৭ সাল থেকে নিউ ইয়র্কে বসবাসরত লুৎফুন্নাহার লতা নিউ ইয়র্ক সিটি বোর্ড অফ এডুকেশনে কাজ করেন। যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন তিনি। ব্যাক্তিজীবনে মার্কিন নাগরিক মার্ক ওয়েনবার্গের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লতা।
জাস্টনাউবিডি২৪
আমরা স্পষ্ট ভাবেই বুঝতে পারছি যে আমরা ইসলাম বিরোধী শত্রুদের দ্বারা বন্দি। সচেতন না হলে ভয়াবহ বিপদ।
ReplyDeleteআমি চাই, ইসলাম ও বাংলাদেশের সাথে এইসব শত্রুরা স্পষ্ট করেই তাদের সম্পর্ক অস্বীকার করুক। তাতে দেশ ও জনগণের লাভ। এই মহিলাকে সাহসী মহিলাই বলব। কারন সে তার শত্রুতা গোপন করেনি।
ReplyDeleteছি ছি ছি
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteএইটা বেস্যা ছাড়া এর কিছু না।
ReplyDeleteতো ওনাকে মাটি চাপা দেওয়ার কি?দরকার কবর দেওয়াতো ইসলামের সংস্কৃতি।আর ওনার নামটাও তো বাংগালি সংস্কৃতি নয় এটাও তো মুসলিম সংস্কৃতির তো সেটা পরিবর্তন করা দরকার।
ReplyDeleteমুজিবের আদর্শই এইসব বেস্যাদের আদর্শ।
ReplyDeleteসব শালা এক খোয়াড়ের! সব গুলোরে শাপলা চত্বরে এনে ফাসি দেয়া উচিত।
ReplyDeleteছিঃ নাস্তিকদের জন্য ধিক্কার।
ReplyDeleteEnter your comment...অাপনার মতো অভাগা, বেহায়ার এদেশে থাকার কোনো দরকার নেই, মনে রাখবেন এটা শাহজালাল, শাহ পরানের দেশ । এখানে কোনো নাস্তিকের জায়গা নেই । অাল্লাহ সব হেফাজত করবে ।
ReplyDeleteবদমাস মৌলবাদী। তোরা এদেশ থেকে চলে যাবি। এদেশে তোরা পরাজিত শক্তি। এটা আমাদের দেশ। শাহজালাল, পরান যাই বলিস সব বহিরাগত। এটা বাঙ্গালীর দেশ, ভারতীয় সভ্যতার দেশ।
ReplyDelete