এর আগেও দেশ বিরোধী অপসাংবাদিকতার অভিযোগে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার বন্ধের আহ্বান ওঠে। ছবিটি সামহ্যোয়ার ইন ব্লগ থেকে সংগৃহীত। |
বাংলাদেশের স্যোসাল মিডিয়ার শক্তি প্রমাণ হল আবারও। অপসাংবাদিকতা থেকে পিছু হঁটে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার এবার ভারতীয় বাহিনী আসার খবর মুছে দিয়েছে।
ডেইলী স্টার ও প্রথম আলো ভারতীয় বাহিনী আসার খবর দুটি মুছে দেয়ার পর ভারত-ঘেঁষা আরেক পত্রিকা বিডিনিউজ খবর দিয়েছে, "ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে খবরটি সত্য নয়"।
যদিও আগের লিংক দুটিতে ক্লিক করলে ইউআরএল হিসেবে আগের সংবাদ শিরোনাম গুলো দেখে প্রমাণ পাওয়া যায়। তাছাড়া গুগল থেকে বিকল্প উপায়ে মুছে দেয়া নিউজ গুলো উদ্ধার করা সম্ভব।
এদিকে, পত্রিকা দুটির এমনতর মিথ্যাচারের জবাবে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, "নিউজ যদি ভুয়াই হয় তাহলে ডেইলী স্টার বা প্রথম আলো সেটা সরাবে কেন? তারা তো ভারতীয় মিডিয়ার সূত্র ব্যবহার করেছিলো! এক্ষেত্রে তাদের নিউজ মুছে দেয়ার দরকার হলো কেন?" -বিডিদেশ ডট নেট তাছাড়া প্রশ্ন উঠেছে, "ভারতীয় আভ্যন্তরীন বাহিনী চেয়ে বাংলাদেশের আবেদন পাঠানো ও ভারত সরকারের সেটা মঞ্জুর করার সংবাদ প্রচারের জবাব দেবে কে"? "রাষ্ট্র ও সরকারের ওপর এহেন স্পর্ষকাতর মিথ্যাচার সাংবাদিকতার কোন নিয়মে পড়ে" তাও জানতে চেয়েছেন কেউ কেউ।
|
উল্লেখ্য ভারতীয় আভ্যন্তরীন বাহিনী এনএসজি তাদের এক্ট অনুযায়ী শুধুমাত্র ভারতের অভ্যন্তরেই সন্ত্রাস বিরোধী কাজ করতে পারে। এ নিয়ে জাস্টনাউবিডির অনুসন্ধানী প্রতিবেদন "ব্ল্যাক ক্যাট নিযুক্তিঃ বাংলাদেশ কি তবে ভারতীয় সীমায়? " অনলাইনে তুমুল ঝড় তোলে। প্রতিবেদনটি থেকে বাংলাদেশকে কব্জা করার সম্ভাব্য বিদেশী নকশা উপলব্ধি করেন দেশের জনগণ।
অনেকেই মত প্রকাশ করতে থাকেন, "এনএসজি বাংলাদেশে আসার অর্থ হল বাংলাদেশ ভারতের রাষ্ট্রীয় অংশ! আর তা না হলে এসএসজির এক্ট পরিবর্তন হয়েছে বলে নিশ্চিত হতে হবে। ভারত কি জানাবে যে তারা সেই এক্ট পরিবর্তন করেছে?"
আলোচিত ভারতীয় বাহিনী নিয়ে বাংলাদেশের অনলাইনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হওয়ার পর ভুল স্বীকার না করেই প্রথম আলো ও তার সহযোগী ডেইলি স্টার একযোগে সংবাদগুলো সরিয়ে দিলো।
বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে নানা প্রতিষ্ঠান অনলাইন পোর্টাল চালু করে তার অপব্যবহার করছেন বলে একটি অভিযোগ রয়েছে। ফলে একদিকে ক্ষমতাসীনদের অপসাংবাদিকতার সত্যিকার বিকল্প হয়েও বদনাম ঘুঁচাতে পারছেনা সম্ভবনাময় সাংবাদিকতা চর্চার এ মাধ্যমটি। যদিও অপসাংবাদিকতার বাইরে গিয়ে জাস্টনাউবিডি২৪ সহ বেশ কিছু সাহসী পোর্টাল দেশকন্ঠের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
অনলাইন মিডিয়াগুলোর তড়িৎ বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধানের কারনেই স্যোসাল মিডিয়া দ্রুতই সরকারী নিয়ন্ত্রণাধীন মিডিয়ার বিকল্প হয়ে উঠছে। সরকারী বাধা সত্বেও দর্শক-পাঠক টিকিয়ে রাখতে প্রায়ই অনলাইন মিডিয়ার তথ্য ও সংবাদগুলোই প্রচার করছে স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো।
লাগামহীন চাটুকারিতা ও তথ্য গোপনের কারনে দেশের বহু সংখ্যক দর্শক-পাঠকই চিহ্নিত সংবাদ নাধ্যমগুলো বর্জন করছেন। এর মাঝেই বাধাহীন বিকল্প হয়ে উঠছে অনলাইন পোর্টালগুলো।
-জাস্টনাউবিডি
অসাধারন জব!
ReplyDelete