জাস্টনাউবিডি প্রতিবেদন,
আওয়ামী নেতার ছেলে ছাব্বির (ওপরে ডান থেকে দ্বিতীয়) |
রাজধানীর কল্যাণপুরে নিহত ৯ জঙ্গির একজন চট্টগ্রামের আনোয়ারার আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল হক চৌধুরী রাশেদের ছেলে ছাব্বিরুল হক কনিক (২২)!
ছাব্বিরুল হকের চট্টগ্রামস্থ পরিবারের মাঝে এখন কান্নার রোল! সময়ের কন্ঠস্বর নামক একটি অনলাইন পত্রিকা পুলিশ সূত্রে কনিকের বাবার নাম উল্লেখ করেছে। পুলিশ বলছে- 'কনিকের বাবা বিষয়টি অস্বীকার করেননি।'
বিগত চার মাস আগে চট্টগ্রামের আনোয়ারার বরুমছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক চৌধুরীর মেধাবী ছেলে ছাব্বিরুল হক নিখোঁজ হন।
আওয়ামী পরিবার থেকে জঙ্গিদলে যুক্ত হওয়া নিয়ে চলতি মাসের ১৪ জুলাই একটি পত্রিকায় ’চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে জঙ্গিদলে’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর প্রশাসনসহ চট্টগ্রামের নানা মহলে তোলপাড় শুরু হয়।
এরই মধ্যে কল্যাণপুরে নিহত ৯ জঙ্গির ছবি প্রকাশ হলে মাতম শুরু হয় আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল হক চৌধুরীর চট্টগ্রামস্থ ঐ বাসায়।
দেশ কাঁপানো আর্টিজান বেকারি হামলাতেও ঢাকা মহানগরী আওয়ামী নেতা ইমতিয়াজের ছেলে রোহানকে পাওয়া যায়।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী নেতা ইমতিয়াজের ছেলে জঙ্গি রোহান! |
আইএসের ম্যাগাজিন আমাকে প্রকাশিত হওয়া জঙ্গিদের ছবিতে অস্ত্র হাতে রোহান থাকলেও বেকারীর এক হতভাগা শেফের সাথে তাকে অদলবদল করে প্রকাশ করতে দেখা যায়। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে।
হতভাগা শেফকে পুলিশ গুলি করে মেরে ফেলেছে, এমন অভিযোগ ওঠে সে সময়। ওই শেফের পরিবার পরিজন নিহতের ছবি নিয়ে বেকারীর সামনে কিছু দিন অবস্থান নিলেও পরে আর তাদের আর কোন খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশে জঙ্গি পরিচিতি আনা প্রথম জঙ্গি সংগঠন জেএমবির প্রধান নেতা শায়েখ আব্দুর রহমানও আওয়ামী যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি ও বর্তমান পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মীর্জা আজমের আপন ভগ্নিপতি বলে প্রমাণিত হয়। মীর্যা আজমও জেএমবি নেতাকে নিজের আপন ভগ্নিপতি বলে স্বীকার করে বক্তব্য দেন।
জেএমবির প্রধান ও সরকারের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের ভগ্নিপতি শায়েখ রহমান (বামে) |
বাংলাদেশে যে কোন জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার প্রশ্নে বিশেষত কওমী মাদ্রাসা ও জামায়াত-শিবিরকে জড়িয়ে কল্পনা প্রসূত সংবাদ প্রকাশের পুরাতন রেওয়াজ রয়েছে। যদিও তথ্য প্রমাণে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা প্রমাণের পর পরই বিষয় গুলি অজানা কারনে চেপে যাওয়া হয়।
ফলে জঙ্গিবাদ দমনে মূল স্থানে হাত দেয়ার সরকারী দূর্বলতা একাধিক বারই প্রকাশ হয়ে পড়ে। এতে করে, কার্যত জনসাধারনের বিরুদ্ধে চলা জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের দূর্বলতায় দেশের প্রধান প্রধান মিডিয়ার সংশ্লিষ্টতাও প্রকাশ হচ্ছে।
খোদ গুলশান রেস্তোরার ঘটনাতেই বহুল বিতর্কিত গণমাধ্যম প্রথম আলোর মালিক লতিফুরের আপন নাতি ফারাজের জড়িত থাকার বিতর্ক রয়েছে। গুলশান ঘটনার জঙ্গিদের পরিচয় উদ্ধারে ব্যাপক সাফল্য এনে দেয়া সামাজিক মাধ্যমেই ফারাজকে জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
সন্দেহভাজন জঙ্গি ও প্রথম আলোর মালিক লতিফুর রহমানের নাতি ফারাজ |
একজন বিদেশী নাগরিকের ভিডিও থেকে ফারাজকে জঙ্গিদের অস্ত্রধারী পাহারাদার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান জঙ্গিবাদের সংশ্লিষ্টতায় সরকার ও তার সহায়তাকারী মিডিয়াগুলোর অবস্থান ক্রমেই বিপদজ্জনক দিকে প্রবাহিত হচ্ছে।
-জাস্টনাউবিডি২৪
জঙ্গিবাদের আড়ত ঘর আওয়ামীলীগ। এইটা সবাই জানে।
ReplyDelete