জাস্টনাউবিডি২৪
রামপালের কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতা করায় বিএনপির সমালোচনা করে গণভবনে আজ একটি সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় ‘বিশাল ভারতের সাথে বাংলাদেশকে তুলনা না করার’ পরামর্শ দিয়ে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। রামপালের বিরোধিতায় ‘বেশি আন্দোলন করলে দেশে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হবে’ বলেন শেখ হাসিনা।
এ সময় আধুনিক প্রসাধনী ও রুপ চর্চার উপাদান হিসেবে কয়লা ও কার্বনের নানাবিধ উপকারিতা ও ব্যবহার তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
রুপ চর্চার ফেসিয়াল টিস্যুতে কার্বনের ব্যবহার প্রধানমন্ত্রীকেও বেশ আশাবাদী করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনের পাশে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মিত হলে উদ্ভুত কার্বন থেকে ফেসিয়াল টিস্যু উৎপাদন করা হবে।
নিজের মুখের দিকে ইঙ্গিত করে এ সময় তিনি বলেন, ‘অনেকেই কার্বনের টিস্যু ব্যবহার করে তারা ভালো বলতে পারবে’। আমরাও সেটা ব্যবহার করবো।
‘খালেদা জিয়ারও কাজে লাগবে’- এভাবেই বিএনপি নেত্রীর নাম ধরে হাস্য রসিকতায় মাতেন এক পর্যায়ে। রামপাল ইস্যুতে বিএনপির প্রকাশ্য বিরোধীতার পর থেকেই মূলত সরকারের মাঝে অস্বস্তি দেখা যায়।
ভারতের পরিবেশ ছাড়পত্র না পাওয়ায় বাংলাদেশের সুন্দরবন ঘেঁষে রামপাল নামক স্থানে নির্মিত হচ্ছে এই কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে দেশটির বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনে।
বাংলাদেশের পরিবেশবাদীরা এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতা করলেও সরকার জোর দিয়ে সেটি নির্মানে এগিয়ে যাচ্ছে।
এ নিয়ে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়ে গেলেও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সেটিকে 'ভারতের সাথে আওয়ামীলীগের চুক্তি' বলে আখ্যা দিয়েছে।
দেশটিতে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসছেন জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জনাব আনু মোহাম্মাদ।
তিনি আজ প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে ফেসবুকে লিখেন, যারা বলছে রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা হলে কোন ক্ষতি হবেনা, তাদেরকে বুড়িগঙ্গার পানি খাওয়ানো দরকার। তাতে করে বোঝা যাবে তাদের নাকের ডগায় থাকা বুডিগঙ্গার কারনে কোন ক্ষতি হচ্ছে কিনা!
যুক্তি তুলে ধরে মিঃ আনু মোহাম্মাদ লিখেন, যারা নিজেদের কাছে থাকা বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে পারেনা তারা ৪০০ কিলো দূরের রামপাল বাঁচাবে, তা বিশ্বাস করা যায়না।
এদিকে রামপালের পক্ষে বলার কারনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের নানা অংশ নিয়ে হাস্য রসদিকতা শুরু হয়েছে সামাজিক মাধ্যম গুলোতে। যদিও ভারত থেকে বিতাড়িত হওয়া এই কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের পক্ষে বেশ সিরিয়াস অবস্থানে রয়েছে সরকার।
বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ভারতীয় অংশের সুন্দরবন বাঁচাতে ভারত একমত। যদিও বাংলাদেশ তার অংশ বাঁচাতে আন্তরিক নয়! |
এদিকে প্রকল্পটির ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান এক্সিম ব্যাংককে উদ্দেশ্য করে প্রকল্পে অর্থায়ন না করতে অনুরোধ করে চিঠি লিখেছে বিশ্বের অনেক পরিবেশবাদী সংগঠন। খোদ ভারতীয় ২১ টি সংগঠনও রয়েছে সেই তালিকায়! রয়েছে ব্রিটেনেরও ২১ টি সংগঠন।
পরিবেশবাদী ঐ সংগঠন গুলোর দাবী, সুন্দরবনের ১৪ কিলো অদূরে নির্মিতব্য কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারনে হুমকির মাঝে পড়বে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ও রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
সুন্দরবনকে বাংলাদেশের রক্ষক আখ্যা দিয়ে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বনটি সর্বদা প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করে এসেছে।
-জাস্টনাউবিডি২৪
হাসিনারে ঐটাতে চুবানো দরকার।
ReplyDeleteএই শয়তানটা ছোট বাংলাদেশে না থেকে বিশাল ভারতে চলে গেলেই আমরা বেঁচে যাই।
ReplyDeleteকতো নির্বোধ আমরা, আমাদে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণেই তার প্রমান। আমরা জাতি হিসেবে এতোই দুর্ভগা যে, পরম শত্রুকে বন্ধু বলতে বাধ্য করেন আমাদের অভিবাবক।
ReplyDeleteএটাও বলে দিচ্ছেন যে, ভারতের হাতে নতুন ছোড়া ভয় পেয়ো না। ছোড়া বসালে টেরই পাবানা। বুকটা পেতো দাও, ভারত শান্তি মতো ছোড়াটা বসাক।
খবরদার, তোমরা কেউ ভারতকে পিঠ দিও না।।
:'(