ভারতীয় সেকুলারিজম!
ভারতে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ইদুল আজহা বন্ধ হবার পথে! |
গবাদি পশুর হত্যা এবং পরিবহণের উপরে বিধিনিষেধ আরোপ করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
কুরবানির ঈদে অবাধে গরু, বাছুর, উট এবং অন্যান্য পশুর নিধন যেন না হয় সে জন্য এই নির্দেশ ভারতীয় প্রাণী কল্যাণ বোর্ডের।অবৈধ উপায়ে গবাদি পশুর পরিবহণ যেন না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্যও নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে রাজ্যে রাজ্যে।
গবাদি পশু, উট, দুম্বা ইত্যাদি বিভিন্ন পশুর কুরবানি দেওয়া হয় এই ঈদে ।
গো-রক্ষা এজেন্ডা নিয়ে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবার যে ভাবে গোটা দেশে হইচই শুরু করেছে, তাতে কুরবানির ইদের আগে গো-হত্যার উপর কঠোর বিধিনিষেধ চাপানো প্রত্যাশিতই ছিল।
আনন্দবাজার জানায়, গত ৪ জুলাই-ই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং রাজ্য প্রাণীসম্পদ বিভাগের কর্তাদের চিঠি পাঠিয়েছেন ভারতীয় প্রাণী কল্যাণ বোর্ডের সচিব এম রবিকুমার।
বকর ঈদের কথা উল্লেখ করেই চিঠিটি লেখা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো চিঠির ইনুলিপি |
বোর্ডের ওই চিঠিতে সচিব লিখেছেন, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, সবক’টি রাজ্য সরকারকেই ভারতীয় প্রাণী কল্যাণ বোর্ড এই চিঠি পাঠিয়েছে।
রাজ্য সরকারগুলিকে কেন্দ্রীয় বোর্ডের স্পষ্ট নির্দেশ, কোথাওই কুরবানির জন্য উট নিধন করতে দেওয়া দেওয়া যাবে না।
যে সব রাজ্যে গো-হত্যা রোধ আইন বলবৎ রয়েছে, সেই সব রাজ্যে গরুর কুরবানিও চলবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কুরবানির ঈদের আগে যারা অবৈধ ভাবে পশুর পরিবহণ করছেন এবং ঈদের দিন যারা আইন ভাঙবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কী ব্যবস্থা সরকার নিল, তাও বিশদে কেন্দ্রীয় বোর্ডকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
কেন্দ্রের এই চিঠির প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকারগুলোও।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগে ভারতীয় পশু কল্যাণ বোর্ডের চিঠিটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তার সঙ্গে জুড়ে গেছে রাজ্য সরকারের নিজস্ব নির্দেশ সম্বলিত চিঠিও।
কেন্দ্রীয় বোর্ডের চিঠিতে যে ভাবে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে, সেই অনুসারেই যেন কাজ হয়। নির্দেশ রাজ্যের প্রাণীসম্পদ দফতরের।
খবরঃ চ্যানেল আই
No comments:
Post a Comment