শিরোনাম

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Mar 30, 2016

‘ভারত মাতা’র ধারনা বিদেশী আমদানিঃ উপমহাদেশে এর কোন ভিত্তিই নাই!


ভারত মাতা’ ধারণাটি উপমহাদেশীয় কিছু নয়। এর উদ্ভব ইউরোপে - এমনটাই জানালেন ভারতের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ প্রফেসর ইরফান হাবিব। তার মতে, ভারতের জনপ্রিয় রাজনৈতিক স্লোগান ‘ভারত মাতা কি জয়’ ভারতের নিজস্ব নয়, বরং ধারণাটি ইউরোপ থেকে ধার করা।



ইরফান হাবিব বলেন, ‘ভারত মাতা’ বিষয়টি ভারতের প্রাচীন বা মধ্যযুগীয়, কোনো ইতিহাসেরই অংশ নয়। ওই সময়গুলোর ইতিহাসে এমন কোনো ধারণা বা চিন্তা উপস্থিত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এটি ইউরোপীয় আমদানি। মাতৃভূমি, পিতৃভূমি - এসব ধারণা ইউরোপের আলোচনার বিষয় ছিলো।

ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়াত ইতিহাসবিদ বিপন চন্দ্রের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রফেসর হাবিবের দেয়া এ বক্তব্য কঠোর বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপি ও তার মতাদর্শিক গুরু আরএসএস ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানটিকে দেশের জাতীয়তাবাদের বড় অংশ বলে ঘোষণা করেছে, বলেছে, এই স্লোগান দিতে অস্বীকৃতি জানানো মানে ভারতীয় সংবিধানকে অসম্মান করা।

এমন সময় এ ধরণের বক্তব্য দেয়ায় রাজনৈতিক সমালোচনায় জড়িয়ে পড়েছেন ইরফান হাবিব।

ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দুকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করেন প্রফেসর হাবিব। তিনি বলেন, ‘প্রাচীন ভারতে প্রথম ‘ভারত’ শব্দটির ব্যবহার দেখা যায় রাজা খর্বেলার সময়ে প্রাকৃত ভাষায় রচিত এক শিলালিপিতে। কিন্তু দেশকে মা বা বাবা হিসেবে মানবীয় চরিত্রে তুলে ধরার বিষয়টি প্রাচীন বা মধ্যযুগীয় ভারতে ছিলো না।’

প্রফেসর বলেন, ‘ইউরোপে জাতীয়তাবাদের উত্থানের সময় এই ধারণাটির জন্ম হয়। ওই সময় ব্রিটেন, রাশিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলে এর ব্যবহার দেখা যায়।’

শুধু হিন্দিতে ভারত মাতা নয়, উর্দুতে মাদার-ই-ওয়াতান কথাটিও ইউরোপ থেকেই এসেছে বলে জানান ইরফান হাবিব। 

(-চ্যানেল ওয়ান)

সম্প্রতি ভারতীয় উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএস এর সেক্রেটারি বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান নিয়ে যে অখন্ড ভারত প্রতিষ্ঠার দাবি করেছিলেন, এই ইতিহাস তার দাবিকে ভুল প্রমাণ করে। এমনকি ভারতের অখন্ডতাকেও চ্যালেঞ্জ করেছে।

উল্লেখ্য, ঐতিহাসিক ভাবে অসংখ্য স্বাধীন রাজ্যের সমষ্টি ইন্ডিয়া। এটি একক কোন দেশ নয়। ঐসব স্বাধীন রাষ্ট্রগুলো দখল করে দখলদার ব্রিটেনই, ভারতকে একসাথে করে শোষণ করেছিলো। আর সেই শোষণের বর্তমান রুপ লাভ করেছে ভারতীয় শাসক-শোষক শ্রেণী।

ঐতিহাসিক ভাবে সাম্রাজ্যবাদ ও কলোনিয়াল ধারনায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বর্তমান ভারতীয় রুপটি। এই শোসনের বিরুদ্ধেই ঐতিহাসিক স্বাধীকার চেতনা বর্তমান সাম্রাজ্যবাদী ভারতের অস্তিত্বকেই হুমকিগ্রস্থ করেছে। গড়ে উঠেছে অখংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন। শুধুমাত্র সেভেন সিস্টারেই রয়েছে অনেক গুলো শক্তিশালী মুক্তি আন্দোলন। তাছাড়া প্রথম থেকেই স্বাধীনতার আন্দোলন করছে মুসলিম অধ্যুষত কাশ্মীর।

-জাস্টনাউবিডি২৪ ডেস্ক

4 comments:

  1. ভেঙ্গে যাক! আমরা খুশি হব।

    ReplyDelete
  2. পৃথিবীতে সবচেয়ে ঘৃণা লাগে এই ভারতকে। মনে হয় যে, এরা ধ্বংস হলে গোটা বিশ্বই শান্ত হবে।

    ReplyDelete
  3. ভেঙ্গে যাক ভন্ডের দোকান। মুক্তি পাক মানবতা।

    ReplyDelete