শিরোনাম

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Jul 12, 2016

অনলাইনে তীব্র প্রতিরোধের মুখে পিছু হটলো বিতর্কিত প্রথম আলো!

স্যোসাল মিডিয়া প্রতিবেদক, জাস্টনাউবিডি২৪
তীব্র প্রতিক্রিয়ায় জেরে এবার ফেসবুক পেজের পাব্লিক রিএকশন তথা রেটিং অপশন তুলে নিয়েছে প্রথম আলো। এতদিন প্রথম আলোর ভ্যারিফায়েড পেজটির গড় রেটিং ছিলো ৪.৫। গত তিন দিনে জনমনে চরম ক্ষোভ তৈরির দায়ে নাটকীয় ভাবে সেটি নেমে আসে ২.৬ এ !



তথ্য বলছে, পেজটির ক্রিয়েশন ডেট হতে আজ অবধি প্রায় ৫ হাজার পাঠক ৫★ রেটিং দিয়েছেন। সম্প্রতি ডাঃ জাকির নায়েক ইস্যুতে বিক্ষুব্ধ পাঠক গত ৩ দিনেই প্রায় ৮ হাজার ১★ রেটিং (১★ এর অর্থঃ 'আমি একে ঘৃণা করি') প্রদান করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ফেসবুক বলছে, প্রদানকৃত ১ এর অর্থ "I Hated It"
রেটিং ৫ এর অর্থ "I Loved It"
আর রেটিং ৪ এর অর্থ "I Liked It"
ফলে ফেসবুক প্লাটফর্মে নতুন এই রেটিং অবস্থান নিয়ে একটি ঋণাত্মক মানের পেজ হিসেবে গণ্য হবে প্রথম আলো।

জানা গেছে ট্রান্সকম গ্রুপের ইংরেজী পত্রিকা ডেইলি স্টার ও বাংলা পত্রিকা প্রথম আলোর অব্যাহত তথ্য সন্ত্রাসের কারনে বিক্ষুব্ধ অনলাইন ব্যবহারকারীরা আগামি ১৩ জুলাই দেশব্যাপী পত্রিকা দুটি পুড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছেন।

এর আগেও পার্বত্য চট্টগ্রামে দেশদ্রোহী স্বশস্ত্র গোষ্ঠির সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে নিহত বিচ্ছিন্নতাবাদী সম্পর্কে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের বিতর্কিত সংবাদ ও শিরোনাম প্রকাশ করে। যা সে সময় অনলাইনে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিলো। সমালোচিত পত্রিকা দুটি নিহত উর্দি পরিহিত বিচ্ছিন্নতাবাদিদের পরিচয় হিসেবে প্রচন্ড বিতর্কিত শব্দ 'আদিবাসি/Indigenous' প্রচার করে। তাছাড়া সেনা বাহিনীর ওপর সন্ত্রাসীদের হামলাকে বিতর্কিত করে উপস্থাপনের অভিযোগ ওঠে। নিহত বিচ্ছিন্নতাবাদীর গর্ভবতী স্ত্রীর বরাতে আবেগ নির্ভর তথ্য সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিলো ঐসময়।



ঠুংকো অভিযোগে ব্যবস্থা নিলেও মিঃ নায়েকের সাথে সম্পর্ক অনেক নেতার

প্রতিক্রিয়ায় ঐ সময়ও দেশব্যাপী প্রথম আলোতে অগ্নি সংযোগ করা হয়। পরবর্তীতে নিজেদের ভুল স্বীকার করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে। পার্বত্য চট্টগ্রামে দেশ বিরোধী গোষ্ঠিগুলোকে সহায়তার ক্রমাগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সে সময় অনেক বিজ্ঞাপন দাতাই পত্রিকাটি থেকে বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে নেন।

নতুন করে একই গ্রুপের মালিকাধীন ইংরেজী দৈনিক ডেইলি স্টার গুলশানের জঙ্গি হামলাকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করেছে বলে ব্যাপক উভিযোগ ওঠে। জঙ্গি হামলাকে কেন্দ্র করে প্রখ্যাত ইসলামী স্কলার জাকির নায়েককে জড়িয়ে প্রতিবেদন প্রচার করে ডেইলি স্টার। ফলে তা তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়। প্রতিবেদনের জের ধরে বিজেপি শাসিত ভারতে জাকির নায়েক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমিখি হন। উগ্রবাদে উৎসাহ দেয়ার সন্দেহে বাংলাদেশে পীস টিভির প্রচার নিষিদ্ধ করে তথ্য মন্ত্রণালয়। উগ্রবাদী হিন্দুদের নানামুখী হুমকির প্রেক্ষিতেই নির্দিষ্ট সময়ে ভারতে ফেরা বাতিল করে দেন ডাঃ নায়েক।

এদিকে, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ গুলো মিথ্যা প্রমানিত হতে শুরু করেছে। মহারাষ্ট্র সরকারের বরাত দিয়ে দ্য হিন্দু পত্রিকা জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ওঠা কথিত অভিযোগ ও প্রতিবেদনের সত্যতা না মেলার প্রতিবেদন প্রকাশ করে।





ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর দিন বাংলাদেশ জুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে ডেইলি স্টার সেটি তুলে নিলেও ভারতের হিন্দুত্ববাদি মিডিয়া গুলো সেই প্রতিবেদনকে ভিত্তি ধরে প্রচারণা অব্যাহত রাখে। মিডিয়া গুলো নজীর বিহীন কায়দায় একের পর এক নায়েক বিরোধী প্রতিবেদন প্রকাশ করতে থাকে। ফলে প্রতিবেদন প্রত্যাহার করেও মূল উস্কানিদাতার ভূমিকা থেকে মুক্ত নয় ডেইলি স্টার।

উল্লেখ্য, অনলাইনে পত্রিকা দুটির বিরুদ্ধে জন আক্রোশ শুরু হলে প্রথম দিনই ডেইলি স্টার ফেসবুক পেজ থেকে রেটিং অপশন তুলে নেয়। আর আজই ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়ে প্রথম আলোও তাদের রেটিং অপশন তুলে নিলো।


-জাস্টনাউবিডি

4 comments:

  1. মা শা আল্লাহ

    ReplyDelete
  2. ভাদাদের উপরে একটা ঝড় গেল

    ReplyDelete