শিরোনাম

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Jul 7, 2016

ব্ল্যাক ক্যাট নিযুক্তিঃ বাংলাদেশ কি তবে ভারতীয় সীমায়?

অনুসন্ধানী রিপোর্ট, জাস্টনাউবিডি২৪
ব্ল্যাক ক্যাট বা এনএসজি হল, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কাজে ভারতের আভ্যন্তরীন বাহিনী

বাংলাদেশের শোলাকিয়ায় নতুন হামলার পর অবসর নেই ভারতে। আগ থেকেই হিন্দুত্ববাদী সরকারের প্রধান স্তম্ভ সীবসেনার একাংশের দাবি ছিলো- বাংলাদেশ দখল। অন্য অংশটি অবশ্য বাংলাদেশী হিন্দুদের জন্য একটা অংশ দখলের পক্ষে।

এবার মোদি সরকার সেই দাবি পূরণের খুব কাছাকাছি চলে এলো কিনা, তা দেখারই উপলক্ষ্য এসেছে যেন!



বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন থেকেই হিন্দু নিপীড়নের একটি প্লট তৈয়ার হয়ে গেছে। এবার যুক্ত হল বিদেশী হত্যা এবং সরাসরি আইএস কান্ড। অবশ্য ঢাকায় হামলার পর বিস্ময়কর ভাবে ‘সাইট’ এর দাবির সাথে একমত হতে চায়নি যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদীরা যেসব হামলার দাবি করে, তার যথার্থতা তুলে ধরে ইহুদি মালিকানাধীন সংস্থাটি।

ওদিকে খবর হল, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা গার্ড বা এনএসজি এবার বাংলাদেশে। এটি একটি স্পেশাল বাহিনী যা সরাসরি ভারতীয় সেনাবাহিনীর আওতায় পরিচালিত হয়। যার দায়দ্বায়িত্ব সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে ন্যাস্ত। বিশেষ টিম Special Action Group বা SAG এর মাধ্যমে এর ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ন্যাশনাল সিকুরিটি গার্ড বা এনএসজি কে ইন্ডিয়ান মিডিয়ায় প্রায়ই ‘ব্ল্যাক ক্যাট’ বলে সম্বোধন করা হয়।

ন্যাশনাল সিকুরিটি গার্ড বা এনএসজি এক্ট ১৯৮৬র ৪৭ এ বলা হয়েছে- "for combating terrorist activities with a view to protect states against internal disturbances".

অর্থাৎ, "(এ বাহিনী ভারতের) আভ্যন্তরীন সন্ত্রাস ও বিরক্তি প্রতিরোধ করে রাষ্ট্রকে রক্ষার উদ্দেশ্যে সৃষ্ট।"

ভারতের আভ্যন্তরীন সন্ত্রাস প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে ১৯৮৪ সালে এই বিশেষ বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাহিনীকে শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় বিশেষ পরিস্থিতিতে (‘only in exceptional situations’) ব্যবহারের বিধান রয়েছে। একে, এমনকি 'কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনী কিংবা আধা সামরিক বাহিনীর বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে না।' ("National Security Guard". Ministry Of Home Affairs. NSG.GOV.IN. Retrieved 23 August 2014)

এক্সেপশনাল কাজে ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা ও অন্যান্য বাহিনীর বিকল্প ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় প্রায়ই ভারতীয় রাজনীতিকরা ‘ব্ল্যাক ক্যাট’কে অপব্যবহার করেন। নিজেদের ব্যাক্তিগত ইগো ও পারিবারিক প্রভাব প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এই বাহিনীর সদস্যদেরকে পাহারায় নিযুক্তির প্রচেষ্টা চালান তারা।

স্পেশাল একশন গ্রুপ SAG ও স্পেশাল রেঞ্জার গ্রুপ SRG নামক দুটি বিশেষ গ্রুপ রয়েছে এনএসজির। সদস্যদের যথাক্রমে ইন্ডিয়ান আর্মি ও কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনী থেকে রিক্রুট করা হয়। বাহিনীটির আওতায় রয়েছে 'জাতীয় বোমা তথ্য কেন্দ্র'।

এর আগে পাঞ্জাব (১৯৮৬ ) এবং কাশ্মির দমনে এই বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়েছে। উইকিপিডিয়ায় এ পর্যন্ত সর্বমোট ২৪ টি অভিযানের বর্ণনা রয়েছে। বিদেশে ভারতীয় বিমান হাইজ্যাক এবং আভ্যন্তরীন উগ্রতা দমনেই ব্ল্যাক ক্যাটের অভিযান সীমাবদ্ধ ছিলো। এই প্রথম কোন বিদেশী ভূমির সমস্যায় জাতীয় বাহিনিটি অভিযানে যাচ্ছে। এর আগে বাবরি মসজিদ কান্ডে এনএসজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আভ্যন্তরীন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় সৃষ্ট একটি বিদেশী বিশেষ বাহিনীকে তার নিজস্ব নীতিমালার বাইরে নিয়ে বাংলাদেশে নিয়োগের যুক্তি ও বৈধতার প্রশ্নটি স্বার্বভৌমত্বের সাথে জড়িত। যদিও ভারতীয় সংবিধান তার নিজস্ব ভূভাগের পরিমান উল্লেখ করেনি। তবুও বিষয়টি কিভাবে ব্যাখ্যা করা হবে, তা বেশ স্পর্ষকাতর প্রশ্ন। তাছাড়া, বাহিনীটির ভারতীয় রাজনৈতিক দল বা ব্যাক্তিগত দম্ভ প্রদর্শনে ব্যবহারের নজীর থাকলেও, বিদেশী সরকার বা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার নজির এই প্রথম।


বিজেপি ক্ষমতারোহনের পর ভারতীয় আগ্রহে 'হিন্দুত্ববাদ' বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে


সে যাই হোক, হঠাৎ পট পরিবর্তনে বাংলাদেশের মিডিয়া,রাজনীতিক; সবার দৃষ্টি এখন এই বাহিনীর স্বক্ষমতার দিকে। কেউ উৎফুল্য আবার কেউ কেউ সন্দেহের ঘোর আবর্তে দোলপাক খাচ্ছেন। দেখাই যাক, বিজেপি আমলের ঘর ওয়াপসী আর বাংলাদেশী নিরাপত্তা প্রার্থনা এবার এক রেখায় বসে কিনা।

-জাস্টনাউবিডি



2 comments:

  1. আমরা শহীদ হয়ে যাব, তবুও দেশের জন্য জীবন দিবো।

    ReplyDelete