শিরোনাম

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Jun 29, 2016

গেন্ডারিয়া মসজিদ কান্ডঃ কে এই নাটের গুরু পরিতোষ?

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, 
জাস্টনাউবিডি ২৪
ছবিঃ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের তৎপরতা

খোদ রাজধানী ঢাকার বুকে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় স্থান মসজিদের বিরুদ্ধে পুলিশের বর্বরোচিত কান্ডে যখন ফুঁসে উঠেছে পুরো বাংলাদেশ। ঠিক তখনই বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।


গেন্ডারিয়া থানা লাগোয়া এলাকা কাপড়িয়া লেন। দীর্ঘদিন এখানে সাম্রদায়িক সম্প্রিতী নিয়ে বাস করছিলেন হিন্দু ও মুসলিমগন। এলাকা মুসলিম অধ্যুষিত হলেও নেই কোন মসজিদ। অন্যদিকে সরকারী স্থান দখল করে গড়ে উঠেছে চারটি মন্দির! সেগুলোর ব্যবহারকারী এলাকার ৭ টি হিন্দু পরিবার। অন্যদিকে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের ৫০ টি পরিবারের জন্য নেই কোন উপাসনালয়। এমন অবস্থায় দীর্ঘদিন থেকে লিজ নিয়ে গড়ে ওঠা সমাজকল্যান সংস্থার স্থানটি ছেড়ে দেন স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ। উদ্দেশ্য রমজান মাসে এলাকায় নামাজ পড়া, গড়ে তোলা একটি স্থানীয় মসজিদ। রমজানে স্বাভাবিক ভাবগাম্ভীর্য নিয়েই চলছিলো উপাসনা। স্থানীয় হিন্দুরা অনেকেই প্রতিবেশী মুসলিমদের ব্যবস্থাপনা দেখে খুশি। নিজ থেকেই নির্মানাধীন মসজিদের জন্য দান করছেন ইট, সিমেন্ট, বালুও।

এরমাঝেই হঠাত মসজিদের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন পুলিশী উপস্থিতি দেখে ভিমড়ি খেয়ে যান স্থানীয় সাধারন মানুষ। অভিযোগ মন্দিরের যায়গা দখল করে গড়ে তোলা হচ্ছে মন্দির! এমন কথা শুনে চমকে যান স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। কোন কালে যেখানে কোন মন্দির ছিলোনা সেটা কী করে মন্দিরের যায়গা দাবী করা যায়? ঘটনার দিন পুলিশ বড় দাপুটে। ঐ স্থান লিজ নেয়া হয়েছে জানানোর পরেও বিশ্বাস করতে চায়না। মূল কাগজ নিয়ে আসার পর ক্ষেপে গিয়ে কাগজ ছিড়ে ফেলেন গেন্ডারিয়ার ওসি মিজান। বোঝা যায় বিশেষ উদ্দেশ্য তাদের বিশেষ স্থান থেকেই পাঠানো হয়েছে। এরপর পরই কোমর থেকে পিস্তল বের করে শাসিয়ে দেন মুসল্লিদের। নামাজ পড়লে গুলি খেতে হবে বলে এক মুসল্লির পিঠে পিস্তল চেপে জামা ছিড়ে ফেলেন! এগিয়ে গিয়ে অন্যদের কলার ধরে বের করে দেন মসজিদ থেকে।

পরের ঘটনা শুধুই চাঞ্চল্য সৃষ্টির। সারা দেশ ফুঁসে ওঠে এমন ঘটনায়। হিন্দু মুসলিম সকলেই এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন।


(কাপড়িয়া মসজিদের গায়ে ঝুলিয়ে দেয়া পুলিশের নোটিশ)

যে জিডিকে কেন্দ্র করে এত ঘটনা সেই জিডির ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে থানায় পাওয়া যায় জনৈক পরিতোষের নাম। এলাকার মানুষ চেনেন না এই নামে কাউকেই। পরিচয়ের ঘরে লেখা আছে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারি! ঠিকানা ৪৫/২ শরৎ গুপ্ত রোড, গেন্ডারিয়া। অর্থাৎ  যে এলাকায় সাম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরি হয়েছে সেখানে বহিরাগত এই পরিতোষ! বহিরাগত এই হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান পরিষদের তথাকথিত নেতা। সম্পূর্ণ অযাচিত ভাবে অন্য একটি এলাকায় গিয়ে কথিত মন্দিরের যায়দা উদ্ধারে নেমেছেন।

সরেজমিন স্বাক্ষাৎকারে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যাক্তিবর্গ জানালেন, স্থানটিতে কোন মন্দির কোন কালেই ছিলোনা। পরিতোষ নামেও তারা কাউকে চেনেন না। 'তাহলে পুলিশ কেন মসজিদ ভেঙ্গে দিতে চাইলো', এমন প্রশ্নের জবাবে থ বনে যান তারা। এসময় এগিয়ে এসে স্থানীয় এক মুসলিম যুবক জানালেন ঐ লেনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতীর কথা। অনেকটা বিচ্ছিন্ন ও সরু এই লেনে কোন হিন্দু ব্যাক্তি মারা গেলে তার লাশ শ্মসানে দিয়ে আসার মত সেবা করেছেন স্থানীয় মুসলিম যুবকরা। অথচ, এমন একটা এলাকাকেই বেছে নেয়া হয়েছে সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টির জন্য!

জাস্টনাউবিডির অনুসন্ধানে জানা গেছে, সম্প্রতি বেশ কিছু বিতর্কিত ঘটনার সাথে জড়িয়ে গেছে কথিত এই হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান পরিষদের নাম। নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশে গরু কুরবানি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে প্রথম আলোচনার জন্ম দেয় বিতর্কিত সাম্প্রদায়িক সংগঠনটি। এরপর বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি হস্তক্ষেপের আহবান জানিয়ে কলকাতার একাধিক পত্রিকার বিষয়বস্তু হন সংগঠনটির সাধারন সম্পাদক। পরবর্তীতে ঐ ব্যাক্তি এমন দাবীকে অস্বীকারও করে বসেন। এর মাঝেই ঐ সংগঠনের প্রভাবশালী এক নেতা বাংলাদেশে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। সেখানে বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেন ঐ নেতা। মাদ্রাসায় 'মানুষ তৈরি হয়না' এবং মাদ্রাসার পেছনে পয়সা খরচ করলে গোটা ভারত ও কলকাতায় 'মুসলিমরা বিপদে পড়ে যাবে' বলে হুমকি প্রদান করেন ঐ নেতা। গতকাল থেকেই ঐ ভিডিওটি ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে।

ফলে এ কথা সুস্পষ্ট যে, বিভিন্ন স্পর্ষকাতর বিতর্কের জন্ম দিয়ে হঠাৎ করেই সংবাদের বিষয় হতে চাইছে হিন্দু ভিত্তিক কথিত সাম্প্রদায়িক সংগঠনটি। তারই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় সম্পূর্ণ অপরিচিত এক বহিরাগতকে দিয়ে মসজিদ নির্মানে বাধা দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এই গোষ্ঠীটি। ঘটনা পরম্পরাকে একত্রিত করে একে দেশ বিরোধী সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছেন বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে এই দেশদ্রোহী গোষ্ঠিকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

-জাস্টনাউবিডি ২৪



8 comments:

  1. অবাক লাগে এত মুসলমান দেশে থাকতেও আমাদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে ভারতীয় গুপ্তচরেরা!

    ReplyDelete
    Replies
    1. ভাই আমরা হলাম নামে মুসলমান।

      Delete
  2. আওয়ামীলীগ আমলে মুসলমানরা নির্যাতিত হয়। তাহলে একাত্তরের মুক্তি যুদ্ধ কি মুসলমানদের বিরুদ্ধে ছিলো? কেন আওয়ামীলীগ ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে না? হাজার প্রশ্ন মাথায় উকি দিচ্ছে!

    ReplyDelete
  3. কিছু মালাউনের চুলকানি উঠছে। এই রমজান মাসেও শান্তিতে থাকতে দিচ্ছেনা। এর আগের রমজানে গেণ্ডারিয়ার আরেকতা মসজিদে হামলা করে ইসকান নামের সন্ত্রাসীরা।

    ReplyDelete
  4. ধিক্কার জানাই এইসব নরপশুদের

    ReplyDelete
  5. অসাধারন! অনেক ধন্যবাদ জাস্টনাউবিডি। অনেক দিন আপনাদের নিউজ বন্ধ। দয়া করে চালু করুন। আমরা আপনাদের রিপোর্টের অপেক্ষায় থাকি। ভালো থাকুন জাস্টনাউবিডি পরিবাদ।

    ReplyDelete
  6. dhonnobad

    ReplyDelete
  7. জবাই করা দরকার শালারে

    ReplyDelete