শিরোনাম

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Jan 23, 2016

আবারও ধর্ম বিদ্বেষী অবস্থানঃ আলেমদের হুঁশিয়ারী! কোন পথে স্যেকুলার সরকার?

বিশেষ প্রতিবেদন বাঁধন, নাসিমা, সাদিয়া, কল্লোল

কেরপর এক ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করছেন সরকারী দ্বায়িত্বশীল মহল। চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ একটি বক্তব্যের রেশ না কাটতেই তারোধিক ধৃষ্টতা দেখাচ্ছেন অন্যজন! 

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু স্যেকুলার গোষ্ঠীর হাতে কার্যত অসহায় হয়ে পড়েছে সংখ্যালঘু ধার্মিক অংশটি। একই সাথে স্যেকুলার সরকারের শাসনে সকল ধর্ম বিশ্বাসীরাই বারবার ধর্মীয় আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছেন।


সম্প্রতি সরকারের খাদ্যমন্ত্রী জনাব কামরুল ইসলাম কওমী মাদরাসাকে ‘ব্যাঙের ছাতার’ সাথে তুলনা করে বক্তব্য দেন। কওমী মাদরাসা হচ্ছে বাংলাদেশের বৃহত্তম ধর্মীয় শিক্ষাঙ্গন। জনাব কামরুল তার বক্তব্যে একাধিকবার ‘ব্যাঙের ছাতা’ শব্দটি উল্লেখ করে তার নিজস্ব মতের ওপর দৃঢ় অবস্থান ব্যাক্ত করেন।

জনাব কামরুলের ভাষায়, ‘কওমী মাদরাসাগুলো ব্যাঙের ছাতার মত বাড়ছেই’। তিনি এসব মাদরাসাগুলোকে ‘জঙ্গীবাদের কারখানা’ বলে অভিহিত করেন। ঐ বক্তব্যে ‘জঙ্গীবাদের কারখানা’ মাদরাসা গুলোকে ‘দমন’ করার জন্য উপস্থিত ব্যাক্তিদের প্রতি উদাত্ব আহবান জানান জনাব কামরুল।

উল্লেখ্য, বর্তমান স্যেকুলার সরকার ক্ষমতাসীন হবার পর থেকে ইসলামের পবিত্র হজ্জ, মহানবী সাঃ ও তার পরিবার পরিজন, পবিত্র মক্কা নগরী, কাবাঘর, আলেম-ওলামা, মসজিদ এবং মাদরাসা ছাড়াও রামু বৌদ্ধমন্দির এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু মন্দিরগুলোতে হামলার মত ঘটনা ঘটে।

যদিও সরকার তরফে মন্দির হামলার মত স্পর্ষকাতর প্রতিটি ধর্মীয় হামলায় তদন্তের পূর্বেই দেশের ইসলামপন্থী ও বিরোধী শক্তির ওপর দায় চাপানো হয়েছে। কিন্তু তদন্ত পরবর্তীতে রামুসহ প্রতিটি মন্দিরের ওপর হামলাতেই প্রধানত আ-লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের নেতৃত্ব বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।



মাদরাসা ছাত্ররা ‘স্বাধীনতা বিরোধী’, ধ্বংসের শপথ নৌমন্ত্রীর

গতকাল ২২ জানুয়ারি শুক্রবার নতুন করে ধার্মিকদের ওপর আক্রমণ শানালেন সরকারের নৌমন্ত্রী। ‘মাদরাসা ছাত্ররা স্বাধীনতা বিরোধী’, এমন মন্তব্য করে জনাব শাহজাহান খান মাদরাসা ছাত্রদের ‘নিঃশেষ করে দেয়ার’ অঙ্গীকার করেন।

‘আমরা যতদিন তাদের নিঃশেষ করতে না পারব, ততদিন লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাব। আমরাও ছাড় দেবনা।’- মন্তব্য করেন নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান।

বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে ‘বারভিডা কার এক্সপো ২০১৬’ এর উদ্বোধন করে এ প্রতিজ্ঞা করেন তিনি। জনাব শাহজাহান খান মাদরাসা ছাত্রদের দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন, ‘মাদরাসা ছাত্ররা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনা। ওরা বাংলাদেশের কৃষ্টি, সাহিত্য, সংস্কৃতি ধ্বংস করে ফেলতে চায়।’

সম্প্রতি বি.বাড়িয়ায় পুলিশের সহায়তা নিয়ে মাদরাসা ছাত্রদের ওপর হামলা করে সরকারী সংগঠন ছাত্রলীগ। রাতের আঁধাতে ঘুমন্ত এক মাদরাসা ছাত্রকে গুলি করার পর তিন তলা থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয় ঐ ঘটনায়। 

পরে হাসপাতালে ঐ মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়। এতে বাংলাদেশের বৃহত্তম ধর্মীয় সামাজিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সমর্থকগণ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ঘটনার পর বি.বাড়িয়াসহ দেশব্যাপী প্রবল বিক্ষোভের পরই মূলত সরকার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলোতে মাদরাসা ছাত্র হত্যার ঘটনাটি প্রাসঙ্গিকতা পায়।

অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ধর্মীয় অংশগুলো অপসারন করেছে ক্ষমতাসীন স্যেকুলার সরকার। এরপর থেকে ধর্মীয় অঙ্গনগুলো রক্ষার রাষ্ট্রীয় দ্বায়িত্বও লঘু হয়ে পড়ার আশংকা করা হচ্ছিল। 

বাংলাদেশের প্রধান প্রধান নাস্তিক ও ক্যমুনিষ্ট দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে মহাজোট গঠন করে আ-লীগ। ২০০৮ সালে একটি বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সহযোগীতায় ক্ষমাতাসীন হয় এই স্যেকুলার মহাজোট সরকার।



সেসময় ‘ধর্মবিরোধী কোন আইন করা হবেনা’ এমন লিখিত অঙ্গীকার করে সংখ্যাগরিষ্ট ধার্মিক অংশটির মৌনতা লাভে স্বক্ষম হয় তারা। সেই সরকার ক্ষমতা লাভের পর ২০১৩ সালে এক নজিরবিহীন সরকারী আক্রমণে বাংলাদেশের ইতিহাসে সংযুক্তি ঘটে ‘শাপলা তত্ত্বর ট্রাজেডির’!


জনাব কামরুলকে ‘শয়তানের দূত’ আখ্যা আলেমগণের

ধর্মবিরোধী প্রবল পরিস্থিতির মাঝেই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি সংস্কৃতির একক দাবিদার স্যেকুলার মহাজোটের সিনিয়র মন্ত্রী জনাব কামরুনের নাম ধরে এবার মুখ খুললেন আলেমগণ। কওমী মাদরাসা ভিত্তিক সংগঠন ইসলামী ঐক্যজোট এক লিখিত বিবৃতিতে জনাব কামরুলকে ‘শয়তানের দূত’ আখ্যা দেয়।

বিবৃতিতে অবিলম্বে জনাব কামরুলের অপসারন করাসহ তাফসির মাহফিল নিয়ন্ত্রণের ‘সরকারী অপচেষ্টা’ বন্ধ, মসজিদের ইমাম, খতিব, খুৎবা, মাদরাসা শিক্ষক, আলেম সমাজের ওপর সরকারের নজরদারী বন্ধের ডাক দেয়া হয়। অন্যথায় ধার্মিক জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে, বলে হুঁশিয়ারী দেয়া হয়।

‘শয়তানের দূতদের কাজ আল্লাহর সাথে বিদ্রোহ করা, মাদরাসা বন্ধ করে ইসলাম শূণ্য করা, জাতিকে পাপাচারে লিপ্ত করা, ঈমাণ ছিনিয়ে নেয়া, মানুষকে আলো থেকে অন্ধকারের দিকে জাহান্নামে নিয়ে যাওয়া। মন্ত্রী কামরুল সে অপকর্মটি করছেন।’- বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ইসলামী ঐক্যজোটের শীর্ষ আলেমগণ।

উল্লেখ্য, বর্তমানে এশিয়ার আরেকটি ধার্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র তাজিকিস্তানের ক্ষমতাসীন স্যেকুলার সরকার দাঁড়ি, টুপি, হিজাব ও আরবি ভাষাকে ‘বিদেশী কৃষ্টি ও সংস্কৃতি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তা নিষিদ্ধ করে। 

ফলশ্রুতিতে সেদেশের পুলিশ ৯৯ ভাগ মুসলিমদের ধর্মবিশ্বাসের তোয়াক্কা না করে প্রথম দিন প্রায় ১৩ হাজার মুসলিম পুরুষকে গ্রেফতার করে দাঁড়ি কর্তন করে দিয়েছে। পাশাপাশি মহিলাদের হিজাব নিষিদ্ধ করার পর রাস্তায় জোর করে তা খুলে ফেলতে বাধ্য করা হচ্ছে।



'প্রতিবেশী তাজিকিস্তানের পথ ধরে বাংলাদেশের স্যেকুলার সরকারও সেদিকে ধাবিত হচ্ছে কিনা, তা গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বাংলাদেশের আলেম সমাজ' বলছিলেন দাওরার ছাত্র মোহাম্মাদ ফখরুল। 

সে পথ ধরে বাংলাদেশও ইসলামী সংস্কৃতিকে 'বিদেশী সংস্কৃতি' ঘোষণা করতে পারে বলে আশংকা তার। ইতিমধ্যেই ইসলামের অলঙ্ঘনীয় বিধান হিজাব নিয়ে কটুক্তি করে সমালোচিত হয়েছেন সরকারের একাধিক মন্ত্রী।

এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান সময়কে ‘দম বন্ধ করা সময়’ বলে আখ্যা দিলেন লালবাগ মাদরাসার দাওরা বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ ফখরুল ইসলাম মুন্না।


-জাস্টনাউবিডি২৪

(জাস্টনাউবিডি২৪; সৃজনশীল মিডিয়া অঙ্গন প্রতিষ্ঠায় প্রতীজ্ঞাবদ্ধ। জাস্টনাউবিডি২৪ এর কোন সংবাদ, লেখা, প্রবন্ধ, বিশ্লেষণ পূর্ণ কিংবা আংশিক আকারে অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সুস্পষ্ট নৈতিকতা বিরোধী ও কপিরাইট অধিকার লঙ্ঘন। জাস্টনাউবিডি২৪ আশা করে বাংলা মিডিয়া জগতে একটি সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার পথে সহযোগী মিডিয়াগুলো সত্যিকার সহযোগীর ভূমিকা পালন করবেন। এক্ষেত্রে মিডিয়াগুলোর দ্বায়িত্বশীল ভূমিকা আশা করে জাস্টনাউবিডি২৪।)

2 comments:

  1. আল্লাহ বেশি বাড়াবাড়ি পছন করেন না। তিনি তার দ্বীণ রক্ষার ওয়াদা করেছেন।

    ReplyDelete
  2. ভালো হইতে পয়সা লাগেনা রে আওয়ামীলীগ! ভালা হইয়া যা। যেদিন তাড়া খাবি আর বাংলাদেশে ঢুকতে পারবি না।

    ReplyDelete