শিরোনাম

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Jan 22, 2016

একাত্তরে এমপি তাজুলের মাথা নাড়া করে দিয়েছিল লাকসামের মুক্তিযোদ্ধারা!

লাকসাম প্রতিনিধি,
জাস্টনাউবিডি২৪

বেরিয়ে পড়েছে সরকার দলীয় এমপি তাজুলের চাঞ্চল্যকর সব অপকর্মের তথ্য! রাগ-ক্ষোভ আর দুঃখে কাঁপছে গোটা লাকসাম! 

তথ্যে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার আবুল বাসার এবং মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন এই তাজু রাজাকারের মাথা চেঁছে দিয়েছিলেন।

কুখ্যাত রাজাকার জুলফিকারের ছেলে তাজু রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীদ্ধান্ত অমান্য করে '৭১ এ এসএসসি পরীক্ষা দিতে যাবার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে। তখন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা উত্তম মধ্যম দিয়ে তার মাথা নাড়া করে দেন। 


মুক্তিযুদ্ধের টালমাটাল অবস্থায় স্থানীয় মুক্তি সংগ্রামীরা এসএসসি পরীক্ষা না দেয়ার স্বীদ্ধান্ত নিলে রাজাকার পুত্র তাজু রাজাকার সেসময় বাবার হুকুমে পরীক্ষা দিতে রওনা হয়েছিল।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া তথ্য মতে, ১৯৭১ সালে বড় মিয়া নামে পরিচিত ছিলেন তাজুলের বাবা জুলফিকার। লাকসামের যাবতীয় লুটপাট, নারী ধর্ষণ, অত্যাচার ও রাজাকারী কর্মকান্ড এই বড় মিয়ার নেতৃত্বেই সংঘটিত হত।

জুলফিকার রাজাকারের দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে জন্ম হয় বর্তমান এমপি তাজুলের। তাজু রাজাকার একসময় জামায়াতের রাজনীতি করত।

আওয়ামী এমপি তাজু রাজাকারের ব্যাপারে খোঁজ নিতেই বেরিয়ে এসেছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য! মূলত বাবার নির্দেশেই মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধে লিপ্ত হয়েছিলো রাজাকার তাজু। 

পাকিস্তানের দালালি করে অর্থ সম্পদ অর্জনের পর বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ভোল পাল্টে জামায়াত থেকে আ-লীগে যুক্ত হন জুলফিকার। একসময় তাজুও যোগ দেন আওয়ামীলীগে। 

জানা যায়, অপরাধ ঢেকে রাখার কৌশল নিতেই ৯৬ সালে এ্যাডভোকেট ইউনুস ভূইয়াঁর মাধ্যমে স্থানীয় আওয়ামীলীগে যোদ দেন এমপি তাজুল।

স্থানীয় একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আতাউর রহমান ক্ষোভের সাথে বলেন, ‘আওয়ামীলীগের রাজাকাররা বিচারের বাইরে থাকায় তাজু রাজাকাররা আওয়ামীলীগকেই নিরাপদ স্থান ভাবছে, সেজন্য এরা লীগে যুক্ত হয়েছে।’

দুঃখ করে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিষ্ঠিত করার মিশন রয়েছে এমপি তাজুের। লাকসামের বর্তমান আওয়ামী মেয়রও এক সময় শিবিরের সাথী ছিল। এছাড়াও এমপি তাজুলের আপন ছোট ভাই নজরুল ইসলাম জামাতের রোকন। 

১৯৯৮ সালে ছাত্র শিবিের সহায়তায় লাকসাম কলেজের ছাত্রলীগ কর্মী আহাদ এবং মিজানকে প্রকাশ্যে দিবালোকে হত্যা করা হয়। ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগ তিন বার ক্ষমতায় আসলেও এমপি তাজুলের প্রভাবে আজও বিচার হয়নি আহাদ ও মিজান হত্যার।’

একাত্তর সালে এমপি তাজুলের মাথা কামানোর স্মৃতি মনে করে কমান্ডার আবুল বাশার জানান, ‘সেই সময়ের আরো অনেক ঘটনা আছে। সেগুলো বলে এখন আর কাউকে ছোট করতে চাই না। তবে চাই সবাই মুক্তিযোদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে সোনার বাংলা গড়ার সংগ্রামে শরীক হোক।’

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এই সব রাজাকারদের কারণে আমরা অনেক অত্যাচারিত হয়েছি! আজ আবার তাদের সামনে গিয়ে ‘স্যার স্যার’ বলে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়! দল বদল করে আবার তারাই রাজা।’

উল্লেখ্য, এমপি তাজুলকে লাকসামে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন না করলে তাকে চরম বেয়াদবী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা কিংবা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ; কেউই তার সামনে চেয়ারে বসতে পারেনা!

১৯৭১ সাল থেকে অত্যাচার করে আসা রাজাকার তাজুলের বিচার দাবি করে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, 'প্রমাণিত রাজাকারদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রাজনীতি করার কোন অর্থ থাকতে পারেনা।'


ট্রাইবুনালে দূর্বল স্বাক্ষ্য-প্রমাণে ফাঁসি দেয়ার বদলে আগে চিহ্নিত ও শক্তিশালী প্রমাণ স্বাপেক্ষ রাজাকার গুলোর বিচার দাবি করেন তারা। 

'আইসিটি ট্রাইবুনালে দূর্বল স্বাক্ষ্য-প্রমাণে বিচার করার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অপরাধগুলোকে সারা বিশ্বের সামনে দূর্বল করে উপস্থাপন করা হচ্ছে' বলে মত মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আতাউর রহমানের।

এমতাবস্থায়, দ্রুত অত্যাচারি যুদ্ধাপরাধীদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দেখার প্রতীক্ষা করে আছেন লাকসামের অপমানিত মুক্তিযোদ্ধারা।

-জাস্টনাউবিডি২৪

2 comments:

  1. আওয়ামীলীগ তারাই হয় যারা নির্লজ্জ।

    ReplyDelete
  2. তাজু মনে রাখিস পাপে ছাড়েনা বাপেরে!

    ReplyDelete