শিরোনাম

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Jul 16, 2016

তুরস্কে সাংবাদিকতা ছেড়ে সন্ত্রাসের সঙ্গী বিবিসি-সিএনএন?

রিপোর্ট বিশ্লেষণ,
জাস্টনাউবিডি২৪
সংবাদপত্র কি রাজনৈতিক হাতিয়ার, নাকি নির্মোহ তথ্যের মাধ্যম?- সে প্রশ্ন উঠেছে।

শ্চিমা দেশ ও মিডিয়া, বিশেষত ব্রিটেন ও আমেরিকা বিশ্বব্যাপী ‘গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা’ বলে অভিহিত। অত্যন্ত ভদ্র ভাষায় লিখা এই টার্মেটি পুরো পরিস্থিতির প্রতিনিধিত্ব করে না। সঠিক ভাবে লিখতে ‘গণতন্ত্রের আজরাইল’ শব্দটি চলে।



এই আজরাইল রুপী ঠিকাদারই নির্ধারন করে থাকে কোন ক্ষেত্রে গণতন্ত্রকে বাঁচতে দেবে এবং কোন ক্ষেত্রে গণতন্ত্রকে হত্যা করবে। বড় সাফল্য আফগানিস্তানের ধ্বংসযজ্ঞ। গণতান্ত্রিক তালেবান সরকারকে উৎখাত ও সামরিক আগ্রাসন পরিচালনা।
পশ্চিমা মিডিয়ার কল্যাণে আজকে তালেবান সন্ত্রাসী ও আমেরিকা সন্ত্রাস বিরোধী অধিনায়ক! যার সর্বশেষ সাফল্য মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিক সরকারটিকে উৎখাতের মধ্য দিয়ে। সকল ক্ষেত্রেই ঠিকাদার গোষ্ঠী গণতন্ত্রকে দমন করেছে অস্ত্রের ভাষায় এবং সেনাবাহিনীকে অবৈধ পন্থায় উস্কে দিয়ে।

গতকাল গণতান্ত্রিক তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ হবার পর গণতন্ত্র বিরোধী অবস্থান থেকে একের পর এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিবিসি, সিএনএন সহ নির্লজ্জ পশ্চিমা মিডিয়া। বিবিসি ইংরেজী থেকে অনুবাদ করে তাদের সংবাদটি এমনকি বাংলাতেও প্রচার করেছে বিবিসি!

পশ্চিমা মিডিয়ায় শুধু একটি রিপোর্টেই কী পরিমান অগণতান্ত্রিক আচরন ও ষড়যন্ত্রের সমাবেশ ঘটেছে, জাস্টনাউবিডি২৪ এর পাঠকদের জন্য আজ তারই ব্যবচ্ছেদ তুলে ধরা হল

সন্ত্রাসী মনের আশা-
'শুক্রবার রাতে যখন প্রথম তুরস্কে অভ্যুত্থানের খবর ছড়িয়ে পড়ে, তখন কয়েক ঘন্টা ধরে দেশটির নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহী সেনাদের হাতে বলেই মনে হচ্ছিল।...'

উপকরন-
'অভ্যুত্থানকারীদের সেই মূহুর্তে দরকার ছিল সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ অংশের এবং জনগণের সমর্থন।...'

"সন্ত্রাসীদের করনীয় কোনটা?- দেখাচ্ছে বিবিসি"-
'অভ্যুত্থান সফল হতে হলে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে পুরো রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দেয়ার দরকার ছিল।...'

বিবিসি রিপোর্টার কি সন্ত্রাসীদের মাঝেই একজন?

"প্রেসিডেন্টকে হত্যা করা গেল না!"-
'কোন কোন খবরে বলা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এক অবকাশ কেন্দ্রের যে হোটেলে ছিলেন সেখানে বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান। ফলে সৌভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান।...'

"তবুও তো আশা ছিলো!"-
'আংকারার নিয়ন্ত্রণ তখনো অভ্যুত্থানকারীদের হাতে। কিন্তু ইস্তাম্বুল তাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে।...'

"অগণতান্ত্রিক উত্থানে প্রয়োজনীয় কাজ তুলে ধরছে বিবিসি"-
'অভ্যুত্থান সফল হওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সমর্থনের দরকার ছিল। কয়েকটি বড় শহরে হয়তো অনেক সেনা সদস্য এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে ছিল।...'

"দেশদ্রোহীদের কিছু সাফল্যে বিবিসির উচ্ছাস!"-
'অভ্যুত্থানকারীরা রাস্তায় অনেক ট্যাংক নামাতে পেরেছিল। তারা ইস্তাম্বুলের বসফোরাস প্রণালীর ওপরের ব্রীজ বন্ধ করে দিতে পেরেছিল।...'

"যেন বিবিসির এই গুপ্তচর সেনাদের সাথেই হন্যে হয়ে খুঁজেছিলো এরদোয়ানকে! তারই লেখা রিপোর্ট কি এটি?"-
'শুরুতে বোঝা যাচ্ছিল না প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান কোথায় আছেন। কোন কোন খবরে বলা হচ্ছিল তিনি তুরস্কের একেবারে দক্ষিণ-পশ্চিমে এজিয়ান সাগর তীরের অবকাশ কেন্দ্র মারমারিসে আছেন।...'

"সেনা প্রধানকে সাথে পাওয়া যায়নি!"-
'কিন্তু সেনাপ্রধান জেনারেল গুল হুলুসি আকার এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে ছিলেন না। সবচেয়ে বড় নগরী ইস্তাম্বুলে ছিল যে সেনা ডিভিশন, তার অধিনায়কও এই অভ্যুত্থান সমর্থন করেননি।'

রিপোর্টের এই স্থান জুড়ে অভিযুক্ত গুলেনের জন্য আত্মপক্ষের পূর্ণ সুযোগ!

-ইতিপূর্বে যে আরব বসন্তের ঢেউ সারা বিশ্বকে আলোড়িত করেছিলো তাও ভেস্তে গেছে পশ্চিমা রাজনৈতিক লাভালাভের কাছে। অগণিত মানুষের জীবনদান, শতাব্দীর অত্যাচার এসবই কোন কাজে দেয়নি। পশ্চিমা মিডিয়াগুলো তথ্যের স্বাভাবিক প্রবাহের বদলে করেছে তথ্য সন্ত্রাস। ফলে গণতন্ত্রের ঠিকাদারদের বলি হয়েছে, অগণিত গণতান্ত্রিক পক্ষ। পশ্চিমা মিডিয়ার বাঁধহীন তথ্য সন্ত্রাসের প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন থেকেই মিডিয়া বনাম পশ্চিমা মিডিয়ার পৃথক সংজ্ঞা নবায়নে আগ্রহী হয়ে আছে রাশিয়া।


-জাস্টনাউবিডি২৪

1 comment:

  1. সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসীর নাম আমেরিকা। তার গড ফাদার ইজরাইল।

    ReplyDelete