শিরোনাম

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Nov 24, 2015

'আন্তর্জাতিক' মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবুলানের মুখোশ উন্মোচন করছে স্বয়ং সরকার!

বিশ্লেষণ, জাস্টনাউবিডি২৪


'১ এর মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত বহুল বিতর্কিত অপরাধ ট্রাইবুল শুরু থেকেই বিতর্কের জন্ম দিয়ে এসছে। ২০১০ সালের ২৫শে মার্চ গঠিত 'আন্তর্জাতিক' ট্রাইবুনালটি গঠনের সময় এর নামকরন নিয়েই প্রথম বিতর্কের সূত্রপাত। ""বাংলাদেশে ২০০৮ এর আরেকটি বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামীলীগ ওয়াদা করে- তারা ক্ষমতায় গেলে 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে'। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তারা সেই ওয়াদাকে বায়াস করে নিজের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের উদ্দেশ্যে 'যুদ্ধাপরাধের বিচার ট্রাইবুনাল' গঠনের পরিবর্তে 'মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনাল' গঠন করে। ফলে এ আদালত গঠনের প্রক্রিয়ার শুরুতেই এর গ্রহনযোগ্যতার মানদন্ডে হোঁচট খায়।"" -নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথাগুলো বলছিলেন বাংলাদেশে বিরোধীদলের অন্যতম একজন শীর্ষ নেতা।


সেসময় নামকরন বিতর্কের মাঝেই নতুন সৃষ্ট ট্রাইবুনাল ঘিরে বিতর্কের আগুনে নতুন করে বেগ পায় যখন এই ট্রাইবুনাল থেকে 'মানবতা বিরোধী অপরাধের' জন্য প্রথম তদন্ত শুরু করা এমন ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে যারা সেদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে 'সরকার বিরোধী তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাক্তিত্ব' হিসেবে পরিচিত। এরা একই সাথে কঠোর ভাবে পার্শ্ববর্তী আগ্রাষী ভারত বিরোধী মতামত পোষণ করতেন। ফারাক্কা পানি ইস্যু থেকে সর্বশেষ তিস্তা ইস্যু নিয়ে শুরু থেকেই এই ব্যাক্তিরা সেদেশের জনগণকে নিয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন। এছাড়া তদন্তের একেবারে শুরুর সময়কালেই তদন্তাধীন ব্যাক্তিদেরকে গ্রেফতার করতেও সরকার কুটকৌশল গ্রহণ করে। ঠুংকো অজুহাতে এই রাজনীতিকদের একে একে গ্রেফতার করে আওয়ামীলীগ সরকার। সেসময় এই খবর গুলো মিডিয়ায় ব্যাপক কভারেজ পায়।

এর মাঝেই একটি মামলা ছিলো ইসলাম ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া সংক্রান্ত। যেটি দায়ের করা হয়েছিলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর প্রধান মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে। মামলা দায়েরকারী সরকারী জোটভূক্ত একটি দলের প্রধান নেতা। মামলা দায়ের করার পর অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে তাকে সেদেশের জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে আটক করে পুলিশ। এভাবে অপ্রাসঙ্গিক মামলা দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে একে একে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালের তদন্তাধীন ব্যাক্তিদেরকে আটক করে বাংলাদেশ সরকার।

আইনের ধারা বানিয়ে আদালতে আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকারে অত্যন্ত পরিস্কার হস্তক্ষেপ করার মাধ্যমে সর্বপ্রথম এই বিতর্কের আন্তর্জাতিক রুপটি ব্যাপ্তী পায়। সেসময় আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ বিশেষজ্ঞরা তাদের চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে শুরু করেন। যুক্তরাজ্যের আদালত ও আইন অঙ্গনে নিয়মিত এই আদালত নিয়ে বিতর্ক বসার খবর ছিলো টক অব দ্য কান্ট্রি। আন্তর্জাতিক পক্ষ গুলোও সেসময় এ বিষয় গুলো নিয়ে সরকারকে একের পর এর চাপ দিতে শুরু করে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠী, সংস্থা এবং ব্যাক্তিত্বরা জড়িয়ে পরেন আদালত বিরোধী প্রকাশ্য অবস্থানে। যদিও আঞ্চলিক শক্তিশালী ইন্ডিয়ার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সহায়তায় সেই বিতর্কগুলোকে পাশ কাটাতে স্বক্ষম হয় বাংলাদেশ সরকার। ফলে একপেশে বিচার প্রকৃয়াটি এগিয়ে যেতে থাকে। 'মানবাধিকার পরিপন্থী কর্মকান্ডের' বিচার প্রক্রিয়ায় 'মানবতা বিরোধী অবস্থান' বিশ্বের ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করার সুযোগ লাভ করে।



আইনী প্রক্রিয়া চলাকালীন আসামী পক্ষের স্বাক্ষী 'সুখরঞ্জন বালীকে' অপহরন ও গুম করার পর ইন্ডিয়ায় খুঁজে পাওয়া এবং এ সংক্রান্ত মৌলিক বিষয়গুলো একের পর এক ঠুংকো বাহানায় আদালত কর্তৃক এড়িয়ে যাওয়া নিয়ে আরেক দফা তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়, যা এই আদালতের গ্রহনযোগ্যতার প্রশ্নে নতুন পালক যুক্ত করে। এই স্বাক্ষী নিজেই একাত্তরে নিহত ব্যাক্তির আপন ভাই, এবং তিনি সরকারি স্বাক্ষী হতে অস্বিকার করে বিচারাধীন ব্যাক্তি মাওলানা সাইদির পক্ষে স্বাক্ষ দিতে আদালতে আসছিলেন। আদালতের মূল গেট থেকে কড়া নিরাপত্তার মাধ্য থেকেই তাকে আসামী পক্ষের আইনজীবীদের হাত থেকে জোর করে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিলো।



পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল নামের এই বিতর্কিত আদালতের সকল গ্রহনযোগ্যতা সুস্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে নস্যাৎ হয়ে যায় যখন, এক বিচারপতির পক্ষপাতমূলক কথোপকথন প্রকাশ পায়। সেখানে তিনি স্বিকার করেন এই আদালত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনের জন্য সরকারী ভাবে গঠিত একটি জুডিশিয়ারী কিলিং প্ল্যান। আদালতে সরকারের চাহিদা বাস্তবায়নের জন্য বিচারপতিদের ওপর খোদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে। সেই সাথে অবৈধ ভাবে রায় লেখার বিনিময়ে আকর্ষনীয় পদন্নতির মত লোভলীয় প্রস্তাব রয়েছে সংশ্লিষ্ট রিচারপতিদের কাছে। একই সাথে রায় লিখতে গিয়ে তার চুড়ান্ত বিড়ম্বনার কথাও প্রকাশ করেছেন আলাপচারিতায়। আসামীদের বিরুদ্ধে কোন তথ্য প্রমাণ না থাকবার পরও কিকরে তাদের ফাঁসির রায় 'দ্রুততম সময়ের মাঝে' লিখা সম্ভব, তা নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ভাবে বহুল আলোচিত 'স্কাইপ কেলেংকারী' প্রকাশ হবার পর সরকার এই বিচারপতিকে সরিয়ে দিলেও নতুন ভাবে বিচার শুরু করতে অস্বীকার করে। ফলে পূর্বের বিচারপতির পর্যবেক্ষণ এবং লিখিত মতামতের ভিত্তিতেই পরবর্তী নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারক রায় ঘোষণা করে দেন। আলোচিত এই আলাপচারিতা প্রকাশের দায়ে সরকার সে দেশের বহুল জনপ্রিয় মিডিয়া 'আমারদেশ' বন্ধ করে দেয় এবং তার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে সরকারী টর্চার সেলের (রিমান্ড) মুখোমুখি করে।



মানবতা বিরধী অপরাধের বিচারে গঠিত হওয়া আদালতের এমন নিয়মিত কেলেংকারির ঘতনায় সে দেশের জনগণের কাছে আদালত কতটুকু বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়তে পারে? এই আশংকার সবচেয়ে শক্তিশালী জবাব হিসেবে বোধহয় রায়ের বিরুদ্ধে স্বতস্ফুর্ত হরতাল পালনের দৃষ্টান্তগুলো উল্লেখ করা যায়। এই আদালতের নিয়োমিত রায় ঘোষণার পর পর সেদেশের জনগণ জাতীয় ভাবে সর্বাত্মক হরতাল পালন করেছে। যেখানে প্রধান বিরোধী দলগুলো অন্য কোন ইস্যুতে হরতাল ডেকে সরকারি পুলিশের তৎপরতায় তা সফল করার লক্ষ্যে রাস্তায় মিছিল করারও সাহস করতে পারেনি; অথচ ট্রাইবুনালের রায় ঘোষণার সাথে সাথে গ্রাম থেকে শহর অবধি রাস্তায় নেমে এসে সেদেশের সাধারন জনতাকে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করতে দেখা গেছে।

শুধু ট্রাইবুনালের রায়কে কেন্দ্র করে, এত বেশি সংখ্যক হরতাল পালন হয়েছে যে এক পর্যায়ে হরতালের দিন নিয়েই কনফিউশন দেখা দিতে শুরু করে। মাঝে মাঝে হরতাল না থাকলে যেন অনেকতা অবাকই হতে হত পর্যবেক্ষকদের। শুধু হরতালের তারিখটুকু জানান দিতেই সেদেশ থেকে 'হরতাল' নামে স্বতন্ত্র ওয়েবসাইটের আত্মপ্রকাশ ঘটে! যেখানে শুধু "আজ হরতাল কিনা" এমন একটি জনপ্রিয় প্রশ্নের "এক শব্দের জবাব" দেয়া হত।  কোন আদালতের রায়ের বিরোধীতা করে 'হরতালের' এই প্রকাশ্য জনপ্রিয়তাটি বোধহয় পৃথিবীর ইতিহাসে আদালতের প্রতি অবিশ্বস্ততার সবচেয়ে নিকৃষ্ট নজির, যেখানে একটি পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক মুসলিম মহিলাও নিজেদের বাড়ি ছেড়ে গ্রামের রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বহু বয়স্ক নারীর পাশাপাশি, নিজ শিশুদের কোলে নিয়ে মা-দেরকে গ্রামের রাস্তায় রাস্তায় সমান ভাবে সেসব বিক্ষোভে অংশ নেয়ার ছবি আন্তর্জাতিক মহলে তুমুল আলোড়ন তৈরি করে।




আদালতের রায় ঘোষণার পর মাত্র একদিনেই পুলিশের নির্বিচার গুলিতে  '১৭০ জন সাধারন মানুষের নিহত হবার' খবরটি আন্তর্জাতিক ভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান করে নেয়। ঘটনাটিকে, একই সাথে বিতর্কিত ট্রাইবুনাল প্রশ্নে সে দেশের জনতার প্রতি সরকারের চরম বিদ্বেষী মনভাব এবং আদালতের প্রতি জনতার তীব্র ঘৃণার বহিপ্রকাশ হিসেবে দেখা হয়! এ ঘটনার পর 'বিরোধী রাজনীতিবিদদের বিচারিক হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত' আদালত থেকে নজিরবিহীন ভাবে সংশ্লিষ্ট আসামীকে খুনের আদেশের পরিবর্তে আজীবন কারারুদ্ধ করার স্বীদ্ধান্ত নিয়ে রায় ঘোষণা করে! যা এই ট্রাইবুনাল কর্তৃক একমাত্র ফাঁসি পরিপন্থী রায়! এই রায়টিই সেদেশের এরকজন জনপ্রিয় বিরোধী রাজনীতিক ব্যাক্তিত্ব মাওলানা সাইদীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়। সম্প্রতী আইন সংশোধন করে আবারও সাইদিকে ফাঁসী দেয়ার উদ্দেশ্যে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

আদালত একের পর এক অজনপ্রিয় রায় ঘোষণা করে সেগুলোকেই 'বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার' বলে প্রচার করার পরও, সেদেশের অজনপ্রিয় একপেশে মিডিয়াগুলো (উল্লেখ্য- সরকার কর্তৃক জনপ্রিয় মিডিয়া গুলো বন্ধ করে একতরফা মিডিয়া ফিল্ড তৈরি করে দেয় হয়।) যখন সফল হতে পারছিলো না তখনই অবিশ্বস্ত এই ট্রাইবুনালের রায় ঘোষণার পরপর 'আসামিদের অপরাধ স্বিকার করে জীবন ফিরে পাবার শেষ রাস্তা' তথা 'রাষ্ট্রপতির কাছে নিজেকে অপরাধী স্বিকারের মাধ্যমে প্রাণভিক্ষা' চাওয়ার প্রথাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ফাঁসির আসামী এইসব প্রভাবশালী রাজনীতিকরা বীনা দ্বিধায় যখন একে একে প্রাণভিক্ষার আবেদন তথা দোষস্বিকারের পথটি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ফাঁসি গ্রহণ করতে শুরু করলেন তখনই সরকার আইনজীবীদের সাথে দন্ডপ্রাপ্তদের দেখা করবার মত অধিকারকে রুদ্ধ করে সহকারী ডিসি মারফত 'প্রাণভিক্ষার আবেদন পাবার' একপক্ষীয় প্রচারনা চালিয়ে ফাঁসি কার্যকর করতে 'রাষ্ট্রপতির অনুমতির' নামে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। এরপর রাষ্ট্রপতি দ্বারা 'প্রাণভিক্ষার আবেদন' নাকচ হয়েছে দাবি করে দুইজন রাজনীতিককে ফাঁসি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। এর মাধ্যমে সরকার নতুন আরেকটি বিচারিক কেলেঙ্কারির জন্ম দিল। ইতিমধ্যেই দণ্ডপ্রাপ্ত রাজনীতিকরা ' তাদের মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আগে শেষ স্বাক্ষাতের' আইনগত সুযোগে নিজ নিজ পরিজনের নিকট 'সম্পূর্ণ প্রাণভিক্ষার প্রক্রিয়াটিকে' নিজেদের পক্ষে দ্বার্থহীন ভাবে 'অস্বিকার করেছেন' বলে পরিবার থেকে প্রকাশ করা হয়েছে!




প্রাণভিক্ষার আবেদনের নামে আরেকটি কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়ে সরকার আপাতত এটাকে 'নিজেদের সবচেয়ে বড় বিজয়' বলে প্রচার করতে তৎপর হয়েছে। সে পথেই জাতীয় সংসদে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গত ২২ নভেম্বর মন্ত্রী ও এমপিদের মাঝে একটি অনির্ধারিত আলোচনা জমে ওঠার খবর প্রকাশ পায়। অনির্ধারিত আলোচনাটিতে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তদের প্রাণভিক্ষার আবেদন সংক্রান্ত আলোচনা প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছিলো। একাধিক এমপি প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এটাকে নিজেদের সফলতা বলে মত দেন। পরদিন সে আলোচনার শিরোনাম হয়, "প্রাণ ভিক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে সাকা-মুজাহিদ অপরাধ করেছেন"। যা সংসদের আলোচনায় অংশ নেয়া মন্ত্রি-এমপিদের বরাতে প্রথম আলো সহ বিভিন্ন সংবাদ পত্র ও মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।


আদালত ও বিচার নিয়ে পর্যবেক্ষনকারী ব্যাক্তিত্বরা এই সংবাদটিকে 'ট্রাইবুনালের অগ্রহনযোগ্যতার ইস্যুতে সবয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দলিল' হিসেবে অভিহিত করে বলছেন, 'এটিই সরকারের অপরাধের সর্বপ্রথম আইনত গুরুত্বপূর্ণ স্বিকৃতি। যা দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান খোদ জাতীয় সংসদে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গৃহীত হয়েছে।'

এর মধ্য দিয়েই 'ট্রাইবুনাল স্বাক্ষ্য-প্রমাণে ব্যার্থ হয়ে যেসব নীতিভ্রষ্ট রায় দিয়ে চলেছেন, তা যে দন্ডপ্রাপ্তদের দন্ড প্রদানের জন্য যঠেষ্ট নয়' সে কথাটি স্বীকার করে নিলেন সেদেশের সর্বচ্চ আইন প্রনেতারা। ফলে তাদের জন্য 'প্রাণভিক্ষার' প্রথা নিয়ে আরেক কেলেঙ্কারি জন্ম দেয়াটা 'অপরিহার্য হয়ে' উঠেছিলো। আর এই কেলেঙ্কারিই তাদের সবচেয়ে বড় নির্ভরতা হিসেবে তারা মনে করছেন। আদালতের বিশ্বাসযোগ্যতা হারানোর পর সামান্য 'প্রাণভিক্ষার আবেদন', যা একান্তই দন্ডপ্রাপ্তের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে; তা-ই আজ বিচারিক প্রক্রিয়ায় সব কিছুর ওপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সরকারের কাছে! আর এটাই একের পর এক কেলেঙ্কারির জন্ম দেয়া আদালতের নেপথ্য কারিগরদের প্রচন্ড দূর্বল হয়ে পড়া মানসিক অবস্থার স্বীকারোক্তি। যা পুরো বিচার ব্যবস্থার অন্তঃসার শূন্যতার কারনেই অবধারিত ভাবে জন্ম নিতে শেষপর্যন্ত 'বাধ্য' হল।



মূলত প্রাণভিক্ষার আবেদন সংক্রান্ত খবরে প্রথম দিন থেকেই চুড়ান্ত বিস্ময় প্রকাশ করে সেদেশের জনগণ, সরকার কর্তৃক বন্ধ করে দেয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে, বিকল্প পথে প্রবেশ করে সেই 'আবেদন পত্রটি মিডিয়ার সম্মুখে প্রকাশ' করতে সরকারের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে প্রেস রিলিজে সরকারের এই দাবীকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে ওই তথাকথিত আবেদন প্রকাশে চ্যালেন করা হয়। তদুপরি সেই আলোচিত 'প্রাণভিক্ষার আবেদনটি' কে রাষ্ট্রীয় 'গোপনীয় বিষয়' বলে সেটি প্রকাশে অনীহা দেখাতে শুরু করেছে সরকার। যদিও আইন বিষেশজ্ঞ ডঃ শাহদীন মালিক আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাটির ব্যাপারে কথা বলেছেন। তিনি একে নিছক 'দন্ডপ্রাপ্তের একটি আবেদন' বলে মতামত দিচ্ছেন। ফলে আইনত রাষ্ট্র একে কোন ভাবেই গোপনীয় বলে দাবি করতে স্বক্ষম হবেনা।এদিকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বিচারিক আদালতে এনে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার নাটকপূর্ণ এই ঘটনাটিকে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো 'বিরোধী রাজনীতিক ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে দণ্ড কার্যকর' হিসেবে অভিহিত করায় বাংলাদেশের সরকার 'ক্ষোভ প্রকাশ' করেছে।


জাস্টনাউবিডি২৪

4 comments: