শিরোনাম

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Nov 30, 2015

বাংলাদেশে ভোগবাদী সেকুলার গোষ্ঠী বনাম সাধারন মানুষের দ্বন্দ্ব!

জাস্টনাউবিডি২৪ বিশ্লেষণ,

["দি বাংলা এবং বাঙ্গালী সভ্যতাকে 'কৃষি সভ্যতা' থেকে আলাদা করা হয়! যদি 'নোংরা কৃষি' আর 'বাঙ্গালী সভ্যতাকে' উত্তম ও অধমের রুপ দেয়া হয়, আলাদা রুপে উপস্থাপন করা হয়। যদি মানব সম্মানের প্রশ্নে এই দুটি অবস্থার যেকোনটিকে বেছে নিতে হয়, তাহলে এদেশের 'নোংরা, অসভ্য, আদিম' কৃষি সমাজ কৃষিকেই বেছে নেবে।  

যদি বাংলাদেশ, 'কৃষিরাষ্ট্রত্ব' অস্বীকার করে পানিবিক্রি-ভূমিবিক্রির ক্ষমতাচর্চা করেই যায়! কৃষিকে নিয়ে রাজনীতির ফসল এলিট বাংলাদেশকে তালাক দেবে এদেশের 'নোংরা' কৃষক সমাজ, তালাক দেবে বাঙ্গালী এলিট সংস্কৃতিকেও। মিথ্যা কৃষিমুক্তির স্বপ্নে যে নাঙ্গল খেদানো গলায় একবার রাজনৈতিক শ্লোগান উঠেছিলো, সেই হেরে গলায় ডাকাত খেদানোর ডাক উঠবে। সেই তীব্র চিৎকারে নরম দেহ এলানো- ঘুমছুট এলিট শ্রেনীর রাজনীতিক, বুদ্ধিবেস্যা ও সাংস্কৃতিক বেস্যাদের আত্মরক্ষার্থে কাঁটাতারের ওপাড়ে পার হয়ে যেতে হবে।]


শুরু কথন,
যদি কোন বাস্তববাদীকে প্রশ্ন করা হয়, আবহমান বাংলাদেশের মৌলিক বিশেষত্ব কী? জবাব আসবে- কৃষি এবং কৃষক সমাজ। এই অঞ্চলের পলিমাটি এবং সভ্যতা -দুইই এক সূত্রে বাঁধা। পলিভূমির কারনেই কৃষি। কৃষির কারনেই সভ্যতা। বাংলা সভ্যতা, বাঙ্গালীর সভ্যতা।এই মানুষ গুলোকে নিয়েই এ অঞ্চলে ভূভিত্তিক রাজনীতি এগিয়েছে। কৃষকের উসিলা করে সৃষ্টি হয়েছে আঞ্চলিক নতুন মেরুর নগরায়ন। কৃষকের সন্তানদের দেখিয়ে সেই নগরায়নে আসন পেতেছে বিশ্ববিদ্যালয়; বুদ্ধিজীবীর আতুড়ঘর। কৃষকের লাভ-লোকসানের হিসাব কষে দেয়ার শপথ নিয়ে রাজনীতির পোস্টার ছাপবার টাকাগুলো উত্তলিত হয়েছে। 'কৃষকের লাঙ্গল হাঁকানো পোক্ত গলার ব্যবহার হয়েছে রাজনৈতিক শ্লোগানে'। ভোট হয়েছে, পদ হয়েছে; হয়েছে মিডিয়া। এখানে 'গণতন্ত্রের দাবি নিয়ে' একাধিক রাজনৈতিক দলের যুক্তিও প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।

এখন কৃষক ও কৃষির লাভ-লোকশানের হিসাবগুলো দেবে কে?


এখনকার দিনে রাজনীতির নামে যত 'ব্যাক্তিত্বের' পূঁজা-অর্চনাই করা হোকনা কেন, তারা শপথ নিয়েছিলো- কৃষককে দেখভাল করবার। তারা শপথ নিয়েছিলো, এই কৃষিরাষ্ট্রের ম্যান্ডেট নিয়ে কৃষির ভালাই করবার। তারা পূঁজক ছিলো- কৃষির, কৃষকের। তাদের জন্য কৃষি নয়, তারাই এই অঞ্চলের কৃষির স্বার্থে সৃষ্টি হয়েছিলো। তাদেরকে সৃষ্টি করেছিলো কৃষকরা। যে আদর্শেই তারা ভর করুক, সব আদর্শ এইসব পা ফাটা কৃষকের পায়ের নিচে। 'ব্যাক্তিত্বের' পুজারিরা আজ জবাব দাও, 

হিসারের খাতাটা কই?



কৃষকের সন্তান মানেই কৃষির নিমকভোগী মানবদেহ। তারা তো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছায়ায়, হাত-পা গুলোকে শীর্ণ করে মাথা ফুলিয়ে নিয়েছে। তারা তো কৃষিজমিন চাষ করা বড় ভাই/বাপের পাঠানো 'ময়লা টাকায়' 'জ্ঞাণার্জন' করেছে। এতদিন এরা, কৃষির জন্যে কী কী উন্নয়ন সাধন করল? 

আজকে এসে পানিহীন মাটিতে, কৃষকের চলন্ত লাঙ্গলগুলো কেন আটকে যায়? 

-এর সমাধান বা জবাব কি এরা দিতে স্বক্ষম? যদি সমাধান দিতে না পারে, তাহলে সমাধানের পথ দেখাবার কথা তো!
লাঙ্গল আটকের সমাধান কোন পথে?


মধ্যকথন,
'বাংলার মাটি কেন কৃষি সভ্যতার জন্ম দিলো'? এ প্রশ্নের জবাব দিতে গেলে একজন যুক্তিবাদী মানুষ উচ্চারণ করবে- পলিমাটির কথা। এই পলি মাটির উৎস হিসেবে দেখিয়ে দেবে পদ্মা-মেঘনা-যমুনাসহ জালের মত ছড়ানো বাংলাময় নদীগুলো। 

ফসল তো কৃষকের সন্তান! 
কৃষকের অন্ন! 
কৃষিরাষ্ট্রের মূলধন! - সে ফসলের অন্ন নিশ্চয়ই পানি! সেই পানিই তো?- যে 'পলি' বয়ে আনে!?

যে রাজনীতি সৃষ্টি হল কৃষকের হিসেব কষে দেয়ার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয় গুলো স্থাপিত হল পলিমাটির ওপর, কৃষকের ত্যাগে! কৃষির স্বার্থে। 

আজ রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদলের টিকিট হিসেবে যখন ফসলের অন্ন সে 'পানিকেই' বিক্রি করে দেয়া হয়! যখন নগরীর এলিট রেস্টুরেন্টের পয়সার জন্য, এই 'পানি বিক্রির বিরোধিতায়' নিঃশ্চুপ থাকাটা বুদ্ধিজীবীদের 'প্রথম দ্বায়িত্ব' হয়ে যায়! তখন অনেক দিনের জমানো হিসেবের পাঠ চুকিয়ে ফেলবার প্রয়োজন দেখা দেয়। 



শেষ কথন, 
কী হচ্ছে আজ বাঙ্গালী সভ্যতার নামে? রমনার বটমূলে কর্পোরেট বানিজ্য।
যখন ক্ষমতার দ্বন্দে কৃষকের 'কেরানীরা' পানি বিক্রির বিনিময়ে ক্ষমতা লাভের রাজনীতি চালু করে, তখন আসহায় হয়ে পড়ে বাংলার কৃষক। অসহায় হয়ে পড়ে বাংলার কৃষি। 'হিসাব মেলানোর কেরানীদের' হিসেব করতেই হিমশিম খেতে হয়।



যখন বুদ্ধিজীবিরা বেস্যাবৃত্তিকে এলিট সভ্যতা মনে করতে শুরু করে, তখন 'চাষা'- একটি গালি হিসেবে উদ্ভব হয়। 'খ্যাত' শব্দটি 'নোংরা' অর্থে পূনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়!
আর 'গ্রাইম্যা' শব্দের করাত, নগরী ও কৃষকের মাঝ থেকে সকল দায়বদ্ধতার সম্পর্ক- অস্বীকার করে 'এলিট নগরীর' অভ্যুদয় ঘটায়।  

যখন লাল আলোর বেস্যাচর্চাকে সংস্কৃতিচর্চা সাব্যস্ত করে পানি হরনকারী লুটেরাদের এদেশেই আমন্ত্রণ জানায়, তখন 'অন্নের' খোঁজে অসহায় ফেলানী খাতুনেরা কৃষক বাপের হাতটা ধরে, রাতের অন্ধকারে কাঁটা তারের বেড়ায় উঠার পর আর নেমে আসবার পথটি পায়না। 
-নতুন গালি 'চোরের ঝুলন্ত লাশ', কৃষিকন্যার 'শেষকৃত্যের' মন্ত্র!  

যখন কৃষকের আদিম 'নোংরা' সভ্যতাকে এলিট শ্রেণীর সভ্যতায় বদলে দিতে 'বাংলাভিত্তি' অস্বীকার করে হয় 'বেঙ্গল ফাউন্ডেশন', তখনই পানিগ্রাষী অসভ্যদের সংস্কৃতিকে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের নামে, এ নগরীতে স্থায়ীভাবে আমদানী প্রক্রিয়া শুরু হয়। বাংলার এলিট সমাজকে আনন্দ দিতে বিপিএলে নেমে আসে আগ্রাষী দেশের আনন্দ নৃত্য। সেই লুটেরার দালালেরা লুটের আনন্দ ঢেলে বীষে ভরিয়ে দেয়, কৃষকের স্বার্থে একদা নগরায়নকৃত ঐ কৃষিটুকরো টি। 

ফলাফল- কৃষি ভূমির মরুকরনের সাথে সাথে, কৃষি সভ্যতার মেরুকরন!



যদি বাংলা এবং বাঙ্গালী সভ্যতাকে 'কৃষি সভ্যতা' থেকে আলাদা করা হয়! যদি 'নোংরা কৃষি' আর 'বাঙ্গালী সভ্যতাকে' উত্তম ও অধমের রুপ দেয়া হয়, আলাদা রুপে উপস্থাপন করা হয়। যদি মানব সম্মানের প্রশ্নে এই দুটি অবস্থার যেকোনটিকে বেছে নিতে হয়, তাহলে এদেশের 'নোংরা, অসভ্য, আদিম' কৃষি সমাজ কৃষিকেই বেছে নেবে।  

যদি বাংলাদেশ, 'কৃষিরাষ্ট্রত্ব' অস্বীকার করে পানিবিক্রি-ভূমিবিক্রির ক্ষমতাচর্চা করেই যায়! কৃষিকে নিয়ে রাজনীতির ফসল এলিট বাংলাদেশকে তালাক দেবে; বাঙ্গালী এলিট সভ্যতাকে তালাক দেবে- এদেশের 'নোংরা' কৃষক সমাজ। মিথ্যা কৃষিমুক্তির স্বপ্নে যে নাঙ্গল খেদানো গলায় একবার রাজনৈতিক শ্লোগান উঠেছিলো, সেই হেরে গলায় ডাকাত খেদানোর ডাক উঠবে। সেই তীব্র চিৎকারে নরম দেহ এলানো- ঘুমছুট এলিট শ্রেনীর রাজনীতিক, বুদ্ধিবেস্যা ও সাংস্কৃতিক বেস্যাদের আত্মরক্ষার্থে কাঁটাতারের ওপাড়ে পার হয়ে যেতে হবে।


এই মাটি কৃষির মাটি।
এ মাটি কাদা সভ্যতার মহামিলন।
এ মাটি পলির মাটি।
এ মাটি নদীর মাটি।
এ মাটি কৃষকের মাটি।।

কোটি কোটি কৃষকের কবর ধারন করা মাটি থেকে কৃষি সভ্যতা সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রকারী দালালরা, সাবধান হয়ে যা!

জাস্টনাউবিডি২৪

1 comment:

  1. আমাদের দুঃখ আমরা সংখ্যাগুরু হয়েও কিছু লুটেরার হাতে মার খাই। ধন্যবাদ লেখাটার জন্য।

    ReplyDelete