শিরোনাম

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Nov 23, 2015

'ফেসবুক বন্ধে একজনও বিরক্ত হয়নি' তারানা হালিমের নতুন নাটক ?

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, 
জাস্টনাউবিডি২৪


[বিকল্প উপায়ে ফেসবুক ব্যাবহারীদের মধ্যে রয়েছেন ডঃ জাফর ইকবাল, গণজাগরন মঞ্চ, জুনাই আহমেদ পলক এমপি সহ সরকারী কর্তাব্যাক্তি, সমর্থক ও প্রতিষ্ঠানগুলো!]

জনগুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করায় এ মুহুর্তে মানুষের ক্ষোভের শীর্ষে অবস্থান করছেন বর্তমান সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পাওয়া অভিনেত্রী তারানা হালিম। গত ২১ নভেম্বর ‘অনির্দিষ্ট কালের জন্য ফেসবুক বন্ধের ইঙ্গিত’ দেয়ার পর আজ ২৩ নভেম্বর নতুন করে আরেকটি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তিনি। 'ফেসবুক বন্ধে একজনও বিরক্ত হননি' আজ এমন মন্তব্যটিই করে বসেছেন এই প্রতিমন্ত্রী! এতে দীর্ঘদিন ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যায় থাকা বিক্ষুব্ধ মানুষের মাঝে চরম বিরক্তি দেখা গেছে। যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যম গুলোতে প্রকাশ্য মন্তব্য করেন তারা।
চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে ইস্যু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেয়ায় একই সাথে সরকারেরও কঠোর সমালোচনা করতে দেখা যাচ্ছে। আধুনিক সময়ের অপরিহার্য যোগাযোগ মাধ্যমকে দিনের পর দিন বন্ধ রেখে 'সরকার নিজেই মানবতা বিরোধী অপরাধ করে যাচ্ছে' বলে মন্তব্য করতে দেখা গেছে প্রচুর ফেসবুকারকে। তাছাড়া 'অভিনেত্রী তারানা হালিমকে পুনরায় নাট্যাঙ্গনে  ফিরে যেতে ' বলছেন কেউ কেউ। 'তারানা হালিম তীব্র ক্ষোভের আগুনে নতুন করে ঘি ঢালে দিয়েছেন' এমন মন্তব্য করে সরকার সমর্থক বিকল্প ব্যবহারকারীরা তাকে 'মুখ বন্ধ রাখার' পরামর্শও দেন।

এদিকে দীর্ঘদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ রাখায় ও সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের বিতর্কিত মন্তব্যে বিক্ষুব্ধ ব্যবহারকারীরা প্রতিবাদ হিসেবে তারানা হালিমের ফেসবুক একাউন্টটিকে অকার্যকর করে দিয়েছে। এ লক্ষ্যে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বরাবর তারা বিপুল সংখ্যক অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা যাচ্ছে। ফলে তার একাউন্টটি ইতিমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করে ফিরতি ক্ষুদেবার্তা প্রেরণ করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এতে ফেসবুকে আনন্দ করতে দেখা গেছে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের। যদিও প্রতিমন্ত্রীর ভ্যারিফায়েড পেজটি এখনও অক্ষত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে।

অন্যদিকে সরকারের বিভিন্ন দ্বাত্যীত্বশীল কর্তাবযাক্তিদের ফেসবুক একাউন্টগুলো ঘুরে সেগুলোতে নিয়মিত আপডেট স্টাটাস দিতে দেখা যায়। সেখানেও সাধারন ব্যবহারকারীরা ব্যাপক ভাবে তাদের বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। ফলে সরকারী দ্বায়িত্বে থাকাঐসকল বিকল্প ব্যবহারকারীদের পোস্টগুলোতে নির্দিষ্ট বিষয়ের চেয়ে বিক্ষুব্ধ ও কৌতুককর মন্তব্যেই মন্তব্যের ঘরগুলো ভরে উঠছে। সরকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পাতাটি থেকে নিয়মিত প্রতি ঘন্টার আপডেট অব্যাহত থাকায় সেখানে বানের মত ক্ষোভ ঢেলে দিচ্ছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। অনেকেই একে ‘সরকারের জনবিরোধী অবস্থান’ বলে আখ্যা দিয়ে বলছেন, 'সরকার যে জনগনকে শত্রু মনে করে এসেছে আজকের এই দ্বিচারিতা তারই শ্রেষ্ঠ প্রমাণ'। তাছাড়া সরকারী ও সরকার সমর্থক আইডিগুলোর দৃষ্টান্ট উল্লেখ করে ‘অবিলম্বে অত্যাবশ্যক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো খুলে দিতে’ সরকারের কাছে বাদী জানাচ্ছেন তারা।  

সব মিলিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে সমালোচনার শীর্ষে থাকা বর্তমান সরকার, প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের বিতর্কিত মন্তব্যে আরো বেশি বিতর্কে পতিত হল। সরকার সমর্থক অনেক ফেসবুক ইউজারই তারানা হালিমকে ‘মন্ত্রীত্ব ছেড়ে পুনরায় অভিনয়ে নাম লিখাতে’ পরামর্শ দিচ্ছেন। বিকল্প পন্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্য্যম ফেসবুক ব্যবহার অব্যাহত রেখে সে পক্ষেই নিরব যোগ দিয়েছে মুক্তমনা তরুন প্রজন্মের জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্ব ডঃ জাফর ইকবাল এবং শাহবাগের গণজাগরন মঞ্চ।

জাস্টনাউবিডি২৪

2 comments:

  1. এই হালি কোন যোগ্যতায় মন্তি হইছে?

    ReplyDelete