শিরোনাম

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Nov 29, 2015

গভীর রাতে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীও গোয়েন্দা নজরদারীতে!?- ফেসবুক জুড়ে তীব্র সমালোচনা।

স্যোসাল মিডিয়া প্রতিনিধি, 
জাস্টনাউবিডি২৪

যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে দুইজন প্রভাবশালী বিরোধী রাজনীতিকের ফাঁসি কার্যকর করা নিয়ে, বাংলাদেশের সাধারন মানুষের ভোগান্তিও এবার চরমে! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বিচ্ছিন্ন করায় ভার্চুয়াল সামাজিকতা গুলো ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে! স্বাভাবিক যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন, দেশের চালিকা শক্তির প্রধান যোগানদাতা প্রবাসীগণ! 


বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন গুণী নির্মাতা মোস্তোফা সরোয়ার ফারুকী। ‘তরুনদের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার করে ক্ষমতা নেয়া সরকার দেশকে তালিবানী জামানায় নিয়ে যাচ্ছে’, মন্তব্য করছেন তিনি। কোরিয়া ট্যুরে থাকা এই তরুন নির্মাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বিষয়ক এক মিলনীতে অংশ নিয়েছেন। ফারুকী লিখছেন, “এমনকি আইসিস আক্রান্ত কুর্দিশ ফিল্মমেকার বন্ধুর বাড়িতেও ভাইবার হোয়াটসআপ চলছে, কিন্তু আমাদের চলছে না । মানুষজনকে বোঝাতে ঘাম বের হয়ে যায় যে, ‘বাংলাদেশ ইজ জাস্ট এনাদার নরমাল কান্ট্রি’ । আমরা তালিবান আক্রান্ত কোনো রাষ্ট্র না।”



এদিকে সাবেক অভিনেত্রী তারানা হালিম, ‘একজন সাধারন মানুষ হিসেবে’ ফেসবুক নিষেধাজ্ঞার পক্ষে আবেগতাড়িত এক আর্টিকেল লিখেছেন। ‘একজন প্রতিমন্ত্রীর বাইরে গিয়ে’ জনগনের সহযোগীতা আশা করে মিডিয়ায় পাঠানো এই ধরনের আবেগ সৃষ্টির প্রয়াসকে, ‘বহু প্রচেষ্টায় ব্যর্থ কান্নার অভিনয়’ এর সাথে তুলনা করেছেন ফারুকী। ফারুকী লিখেছেন, “ বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট অভিনেতার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে । যিনি কান্নার দৃশ্যে জান দিয়ে কাঁদে আর দর্শক হোহো করে হাসে।...”। অন্যদিকে 'ইন্টারনেটের ক্ষতি' বিষয়ক এক সভায় যোগ দিয়ে, প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ‘অনিয়ন্ত্রিত ইন্টারনেট ব্যবহার' নিয়েও সমালোচনা করেছেন।

সামাজিক মাধ্যমগুলো ঘুরে দেখা যায়, বিকল্প উপায়ের ব্যবহার হু হু করে বাড়ছে। নিষেধাজ্ঞা ভেঙ্গে শুরু থেকেই, এমনকি ‘গভীর রাতেও’ ফেসবুক ব্যবহার করে যাচ্ছেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও কর্তাব্যাক্তিরা। এমনকি ফেসবুক খুলে দেয়ার দাবি করায় ফারূকীর বিরোধীতায় ফেসবুকেই সরব হতে দেখা গেছে সরকার সমর্থক 'বিকল্প ব্যবহারকারীদের'! ফারুকীর বিরোধীতা করে আক্রোমনাত্মক কবিতা ছাপিয়েছে 'শাহবাগ চত্বর'! বিদেশ বসে ট্রাইবুনালের বিচারিক যথার্থতা নিয়ে দেশের মানুষের উদ্দেশ্যে বরাবরের মতই 'জ্ঞাণগর্ভ বক্তব্য' পোস্ট করে চলেছেন সরকার সমর্থকরা।


সামাজিক যোগাযোগ নিয়ে সরকার ও সরকারী দলের এসব দ্বিচারিতার প্রতিবাদে সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। ‘অপরাধীর বিচারের কথা বলে দেশের সাধারন মানুষের সামাজিক যোগাযোগের ওপর, সরকার যে অগ্রহনযোগ্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তা স্বীকার করতেও চাইছেনা সরকার’, মন্তব্য করেছেন একজন। ‘মন্ত্রীদের জন্য কি কোন আইন নাই?’ এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের পোস্টে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এক ক্ষুব্ধ তরুন। সে প্রশ্নের বিরোধীতায় বরাবরের মত নিজেদের ভাষাতেই সরব প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন পলকের সমর্থকরা। যদিও পলকের পক্ষ থেকে এ ধরনের প্রশ্ন গুলোতে নিরব থাকতে দেখা গেছে।



সরকার বিরোধী প্রচন্ড সমালোচনা, প্রতিবাদ, যুক্তি-পাল্টা যুক্তির পাশাপাশি ব্যাঙ্গবিদ্রুপ চলছে আগের মত। ‘ফেসবুক ব্যবহারকারীদের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হচ্ছে’ তারানা হালিমের এমন মন্তব্যের ব্যাঙ্গ সংস্করন করেও প্রতিবাদ করছেন অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী। “গভীর রাতে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর আইডিও গোয়েন্দা নজরদারীতে!?”- ফেসবুকে অনেক টাইম লাইনেই প্রশ্নটি দেখা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য গত ২৭ নভেম্বর ভোর রাত সাড়ে ৩ টার দিকে প্রতিমন্ত্রী পলকের আইডি থেকে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দুটি পোস্ট দেয়া হয়। প্রথম পোস্ট তার সিংড়ার অবস্থান জানান দিয়ে এবং অন্যটি প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা জয়ের ছবি সম্বলিত একটি পোস্টার। BOP Summit- এর লোগোযুক্ত পোস্টারে লিখা রয়েছে “Bangladesh The Next ICT Destination, Explore Your Possibilities!” “তথ্য ও যোগাযোগের উন্নয়নে পরবর্তী লক্ষ্যস্থল বাংলাদেশ, সম্ভাব্যতা আবিস্কার করুন’।

জাস্টনাউবিডি২৪

1 comment: