শিরোনাম

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Nov 25, 2015

“ম্যায় ভারত অর পাকিস্তান কা নেহি হুঁ, ম্যায় শ্রেফ বাংলাদেশ কা নওজোয়ান হ্যায়! অর ইয়েহি রাহুঙ্গা!"

বিশ্লেষণ,জাস্টনাউবিডি২৪


[সেক্ষেত্রে এ অঞ্চলের মুসলিম ঘরগুলো থেকে জন্মা নেয়া আ-লীগ, বিএনপি, কমুনিস্ট, জামায়াত সকল চেতনাধারীরাই একমাত্র অহিন্দু হবার সুবাদে- ভারতীয় অহিন্দুবিদ্বেষী আগ্রাসী স্বার্থচেতনায় কম-বেশি সময়ের ব্যবধানে হিন্দুত্ববাদের গহীন স্পিরিটের কাছে 'কেবলমাত্র শত্রু' হিসেবে বিবেচিত। ভারতের সাম্রাজ্যবাদী এই আগ্রাসন কোন ভাবেই ভৌগলিক আগ্রাসন নয়। এটি ''ঘর-ওয়াপসির'' আগ্রাসন। 'মহাভারত পূনঃপ্রতীষ্ঠার আগ্রাসন'।]
শুরুকথন- 'সাকা-মুজাহিদের ফাঁসির বিরুদ্ধে পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলিতে প্রতিবাদ। আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হবার প্রস্তাব।'
-এ জাতীত খবরগুলো নিয়ে বাংলাদেশে রীতিমত তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এর আগে স্বয়ং পাকিস্তান সরকার থেকে 'একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের নামে পাকিস্তান সমর্থকদের’ বিচারের' বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার পর তা নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সেখানে পাকিস্তান ত্রিদেশীয় চুক্তির কথা উল্লেখ করে চলমান বিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে।


সরকার সমর্থক গোষ্ঠী এই ধরনের খবরে খুশিতে যেন বাকবাক করছেন। তারা প্রচার করছেন, এর মাধ্যমে সাকা-মুজাহিদসহ সকল অভিযুক্তের 'পাকিস্তানপন্থী’ হবার প্রমাণ হল। 'অন্যদিকে প্রতিপক্ষের অনেক সমর্থকই বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গেছেন। তাদের মত হল, এইসব ঘটনা তাদের প্রতিপক্ষের প্রচারনায় সহায়ক হওয়া ছাড়া আর কোন ফল আনবেনা। কারন এগুলো তাদের নেতার 'পাকিস্তানপন্থী হবার প্রমাণ’ হিসেবে ব্যবহৃত হবে' বলে তারা মনে করছেন।


সাকা-মুজাহিদ নিজেরাই ৭১ এ পাকিস্তানের পক্ষে তাদের অবস্থান স্বীকার করে আদালতে তাদের বক্তব্য শুরু করেন! ফলে, পাকিস্তানি এইসব তৎপরতায় চলমান বাস্তবতার পরিবর্তনের জন্য কোন উপাদানই নেই, তবুও পক্ষ-বিপক্ষ গোষ্ঠীগুলো পাকিস্তানের এই ঘটনাগুলোকে নিজেদের অবস্থানের ক্ষেত্রে বড় কোন যুক্তি/পাল্টাযুক্তি হিসেবে প্রচার করছেন!আদালতে দলগত ভাবে জামায়াতের লড়াই হল, 'তারা পাকিস্তানের স্বার্বভৌমত্বের প্রতি অনুগত ছিল। তারা চায়নি দেশ হিসেবে পাকিস্তান বিচ্ছিন্ন হয়ে আরো অনিশ্চয়তায় নিপতিত হোক। আর সেই দেশাত্ম চেতনার কারনে আজও সমান ভাবে তারা বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতায় বিশ্বাস করে।'


জামায়াতের এই বক্তব্যটি বোঝার জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে, অখন্ড বাংলাদেশের জন্য পার্বত্য ইস্যুতে জামায়াতের অবস্থান উল্লেখ করা যায়। জামায়াত পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্নতা থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে নিজের জন্য যে স্ট্যান্ড নির্ধারন করেছে, তাকে অন্যান্য সকল দলের স্ট্যান্ডের চেয়ে 'সর্বাধিক বাস্তবসম্মত' হিসেবে, পার্বত্য ইস্যুতে সরব জামায়াত বিরোধী মতের গবেষকরা, স্বীকার করে থাকেন।আর এটাই অখন্ড দেশপ্রেমের বাস্তব নমুনা, যা তারা তাদের প্রতীষ্ঠালগ্ন থেকেই সকল ক্ষেত্রে পেশ করে এসেছে। এরই ফলশ্রুতিতে নোংরা রাজনৈতিক চর্চায় পাকিস্তানের রাজনীতিতেও জামায়াতকে 'পাকিস্তানবিরোধী' হিসেবে প্রচার করা হয়!!


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল নামের ''ডোমেস্টিক জুডিশিয়াল কিলিং ট্রায়াল'' এ তাদের মূল যুক্তিটাই ছিলো, 'তারা যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী নয়। তারা অখন্ড পাকিস্তানের সাপোর্টার ছিলো মাত্র। আর এটা কোন যুদ্ধ অপরাধ বা মানবতা বিরোধী অপরাধ নয়। বরং অখন্ড দেশপ্রেম। এ জন্য বিচার করা যায়না। 'পরবর্তীতে একপর্যায়ে খোদ আদালতও এই কথাটি উল্লেখ করেছে। 'মানবতা বিরোধী অপরাধ প্রমানে ব্যার্থ' সরকারী আইনজীবীরা বিচারাধীন ব্যাক্তিদেরকে বারবার 'পাকিস্তানপন্থী' হিসেবে প্রমাণ(!) করতে চাওয়ায়’ আদালত বলেছে- 'পাকিস্তানের সাপোর্ট করার জন্য বিচার করা যাবেনা।' যদিও শেষমেশ যথার্থ প্রমাণ-স্বাক্ষ্য না থাকার পরেও বিচারের নামে তাদের হত্যার উদ্দেশ্যটি ঠিকই জিইয়ে রাখা হল।


মূলত 'পাকিস্তানপন্থী' হবার চেয়ে এখন 'ভারত বিরোধী' পরিচয়ের কারনেই এই হত্যাকান্ডের প্রক্রিয়া। ''এই বিচার উপমহাদেশীয় বৃহৎ দুটি ধর্মভিত্তিক-ভূখন্ডের পারস্পরিক প্রতিযোগীতার 'রাজনৈতিক পরিনাম।' যেখানে এক পাশে চিরোশত্রু ভারত ও অন্য পাশে পাকিস্তান। ভারত ও পাকিস্তান বিভিন্ন সময় '৭১ এর যুদ্ধকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করে বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে এসছে। আর সে পথে হাসিনা স্পষ্ট ভারতপন্থী অবস্থান নিয়েছেন।'' সূতরাং '৭১ এ যুদ্ধাপরাধ ক্ষমার 'ত্রিদেশীয় চুক্তি' নিয়ে পাকিস্তানের কথা বলা এবং পাকিস্তানী সমর্থকদের বিচার করায় পাকিস্তানের 'আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের' এই স্বীদ্ধান্ত সম্পূর্ণই 'ত্রিদেশীয় চুক্তির' ভিত্তিতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে জামায়াত সমর্থক হিসেবে কারো বিচলিত হবার যেমন কোন কারন নেই। অপরপক্ষে জামায়াত বিরোধীদেরও আনন্দিত হবার কোন উপাদান নেই।


মধ্যকথন- 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন শাড়ী বানিয়ে 'ইন্ডিয়ান পতাকা পরিধান' করে বাংলাদেশের 'বিজয় দিবস'কে চ্যালেঞ্জ করেন তখন বাংলাদেশীদের অবশ্যই বাংলার সংখ্যাগুরু ঐতিহাসিক ভারতবিরোধী-সেন্টিমেন্টের দাবির পক্ষে উপমহাদেশীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়বার বিষয়ে ভাবতে হবে। বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব কখনই নিরাপদ হবেনা, যদি না মুক্তিযুদ্ধের- (আওয়ামী হাতে লিখিত) 'ভারত প্রবর্তীত ইতিহাসকে' স্পষ্ট অস্বীকৃতি জানিয়ে, তারা ভারতীয় রাজনৈতিক আগ্রাসনের স্পষ্ট-প্রতিবাদ করেন।



পাকিস্তান ও ভারতের মাঝে '৭১ নিয়ে যে 'দ্বিপক্ষীয় সেন্টিমেন্ট' রয়েছে তাকে ভেঙ্গে দিয়ে বাংলাদেশী সেন্টিমেন্ট প্রতীষ্ঠার লক্ষ্যে, দেশের স্বার্বভৌমত্বের গ্যারান্টি আদায়ের উদ্দেশ্যেই, কাউকে না কাউকে এই দুই দেশের সাম্রাজ্যবাদী রাজনীতির মুখোমুখো দাঁড়াতেই হবে। বাংলাদেশের কেউ কেউ এক্ষেত্রে যখন ভারতের স্পষ্ট গোলামীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন অন্যদেরকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে 'আঞ্চলিক ভারসাম্য প্রতীষ্ঠায়' এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব রক্ষায় পাকিস্তানের সমর্থন আদায়ের দিকে মনোযোগী হতে হবে। তানাহলে বাংলাদেশ যেভাবে দ্রুত সুস্পষ্ট সিকিমের মত 'ভারতের পরবর্তী আরেকটি করদ হবার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে', চূড়ান্ত কোন মুহুর্তে এদেশকে রক্ষার কোন উপায় থাকবেনা। জামায়াত, ঠিক এই সার্বভৌমত্ব হারাবার আশঙ্কাতেই '৭১ এ 'উগ্রহিন্দুত্ববাদী চেতনাধারী ভারতের' বিরুদ্ধশক্তি তথা পাকিস্তানের অখন্ডতার পক্ষে 'একেবারে যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত' রাজনৈতিক ভাবে একমত ছিলো।

বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়ে যাবার পর জামায়াতের মত করে সকল মতবাদের রাজনীতিকে এক প্লাটফর্মে আসতে হবে। 'দেশ রক্ষায় ঐক্যমত্য' হল, সেই প্লাটফর্মের নাম।

পাকিস্তানের তৎকালীন রাজনৈতিক দলগুলো দেশাত্মভিত্তিক বর্তমান বিএনপি, আওয়ামীলীগ, মেনন-ইনু; এবং স্বৈরাশাসক এরশাদের মতই নিজ নিজ আলাদা মতাদর্শ লালন করত। এরা প্রত্যেকেই পাকিস্তানের আনুগত্য করত। যেমন পাকিস্তান আ-লীগ, পাকিস্তনা পিপলস পার্টি, পাকিস্তান মুসলিম লীগ, পাকিস্তান কমুনিষ্ট পার্টি, পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামী, ইয়াহইয়া খানের মত সব মতাদর্শের লোকই স্বদেশ হিসেবে অখন্ড পাকিস্তানের আনুগত্য করত। 
এক্ষেত্রে সবচেয়ে শক্তিশালী দৃষ্টান্ত হতে পারেন স্বয়ং শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি একই সাথে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং পাকিস্তান প্রতীষ্ঠার আন্দোলনে অন্যতম ছাত্রনেতা। একইসাথে পাকিস্তানী রাজনীতিবিদ হিসেবে শেষ পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্ব লাভের চেষ্টা করে গিয়েছিলেন।


মুক্তিযুদ্ধের ঠিক আগ মুহুর্তেই পরস্পর বিরোধী রাজনৈতিক বিবেচনায় এসব দলগুলোর কেউ কেউ পাকিস্তানের আনুগত্য অস্বীকার করেছে আবার কেউ কেউ আনুগত্য বজায় রেখেছে। -ফলে রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তিতে অন্যান্য দলগুলোর স্বাপেক্ষে ইসলামী রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের অবস্থান যেমন বর্তমান বাংলাদেশে তার রাজনৈতিক অবস্থানের অনুরুপ ছিলো। তেমন এখনও আছে। এখন কিছু দলকে রাজনৈতিক অপচর্চার অংশ হিসেবেই পাকিস্তানপন্থী বলে প্রচারনা করে মূলত আঞ্চলিক আরেক ধর্মভিত্তিক দেশ ভারতের অভিলাষ অর্জনের পথে, কাঁটা দূর করার কাজটাই হয়। একথা সুস্পষ্ট যে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ; দুই আমলে দুই দেশেরই আভ্যন্তরীন রাজনৈতিক মতাদর্শগুলো একই অবস্থায় রয়ে গেছে। একই চেতনায় রয়ে গেছে সেইসব রাজনৈতিক দর্শনের সমর্থক গোষ্ঠীরা।
১৯৭১ পরবর্তী বাংলাদেশ অঞ্চলে রাজনীতির ক্ষেত্রে কেবল দুইটা নতুন উপাদান সৃষ্টি হয়েছে।১- মতাদর্শগুলোর রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে 'বাংলাদেশী' হিসেবে। এবং২- ১৯৭১ এ সহায়তার নামে, মুসলিম বিদ্বেষী উগ্রহিন্দু মতাদর্শের ভারতীয় চর এবং গুপ্তচরদের অবাধ বিচরন এই মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে ''বৈধতা'' পেয়েছে। মূলত একাত্তর এর মৌলিক চেতনা তথা গণতন্ত্র, সাম্য... ইত্যাদি প্রতীষ্ঠায় প্রতিযোগিতার চেয়ে পাকিস্তানপন্থী বা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজনৈতিক দল বলে প্রতিপক্ষকে দমনের এই ব্যাপকতার মৌলিক কারনই হল, দ্বিতীয় উপাদান তথা বিদেশী ইন্টিলিজেন্স, চর, গোয়েন্দাদের স্বতঃস্ফূর্ত অনুপ্রবেশ।


সেক্ষেত্রে এ অঞ্চলের মুসলিম ঘরগুলো থেকে জন্মা নেয়া আ-লীগ, বিএনপি, কমুনিস্ট, জামায়াতসহ সকল চেতনাধারীরাই একমাত্র অহিন্দু হবার অপরাধে- ভারতীয় অহিন্দুবিদ্বেষী আগ্রাসী স্বার্থচেতনায়, কম-বেশি সময়ের ব্যবধানে হিন্দুত্ববাদের গহীন স্পিরিটের কাছে 'কেবলমাত্র শত্রু' হিসেবে বিবেচিত। ভারতের সাম্রাজ্যবাদী এই আগ্রাসন কোন ভাবেই ভৌগলিক আগ্রাসন নয়। এটি ''ঘর-ওয়াপসির'' আগ্রাসন। 'মহাভারত পূনঃপ্রতীষ্ঠার আগ্রাসন'। শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর ইন্দিরা গান্ধীর তীব্র অনুরোধের পরও ওআইসিতে গিয়ে যোগ দেয়ার মাধ্যমে সর্বপ্রথম এই ঘর-ওয়াপসী আগ্রাসনের মূলে কুঠারাঘাত করে মূলতই 'ভারতের ওপর বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম আঘাতটি করেন'। আর ইন্ডিয়ান মিলিটারী নেতৃবৃন্দও অসম চ্যালেঞ্জে নিজেদের অবস্থান ব্যাক্ত করতে গিয়ে এই মহাভারতীয় চেতনার কারনেই বিশ্বাস করতেন যে, 'ভারত যতই সাহায্য করুক ঢাকার মানুষ ভবিষ্যতে মক্কা ও ইসলামাবাদের দিকেই ঝুঁকবে।

'
সমাপনী,
শুধু প্রথমশিকার জামায়াত নয়, একই সাথে ঘর-ওয়াপসীর মহাভারতীয় চেতনাকে অমানবিক ও নিষ্ঠুর হিসেবে বিশ্বাস করা প্রতিটি ব্যাক্তিবর্গ, কিংবা মুসলিমঘর থেকে জন্ম গ্রহণ করা প্রতিটি আ-লীগ সাপোর্টার, বিএনপি সাপোর্টার, জাতীয় পার্টি সাপোর্টার, সমজতন্ত্র ও কমুনিজম সাপোর্টার নির্বিশেষে- মিডিয়া, ব্যবসায়ী, কৃষক, ছাত্র, শ্রমিক, রাজনীতিক তথা বাংলাদেশের প্রতিটি গণমানুষকেই 'ঘরওয়াপসী' ভিত্তিক 'নেহেরু ডকট্রিন' সম্বন্ধে স্পষ্ট জ্ঞান নিয়ে 'স্বীদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে'।


আর সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই মুক্তিযুদ্ধকে 'ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ' বলে প্রচার করা শক্তিগুলোকে, ১৯৭১ এর আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রতিনিধির অনুপস্থিতির ক্ষেত্র প্রস্তুতে ভারতীয় কার্যকলাপকে, সর্বশেষ ১৯৭১ নিয়ে ভারতীয় মুভি 'গুন্ডের' আগ্রাসনকে বিবেচনা করতে হবে। বিবেচনা করতে হবে আজ অবধি একেএকে সংঘটিত স্বাধীকার হরনকারী প্রতিটি ঘটনাবলী। ফারাক্কার মাধ্যমে পানি হরন প্রক্রিয়ার পর থেকে এদেশের রাস্তাঘাট, রেল, ভূখন্ড সকল দিক দিয়ে ভারতীয় অধিকার প্রতিষ্ঠার সকল প্রেক্ষাপট গুলো একই দৃষ্টিকোণ থেকে আধিপত্য প্রতষ্ঠায় ঘটে চলেছে। যা এখন যেকোন সময়ের চেয়ে অধিক দ্রুততায় বাস্তবায়িত হচ্ছে!


আর শেষ পর্যন্ত নিজেদের সাম্য ভিত্তিক স্বাধীনতাকে ধরে রাখার উদ্দেশ্যে ধর্মভিত্তিক দেশগুলো তথা আমাদের স্বাধীকারের প্রতিপক্ষ ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানের ভাষাতেই স্পষ্ট ভাবে আমাদের অবস্থান জানান দিতে হবে। আমাদের তরুন প্রজন্মের মানসিকতাও বুঝিয়ে দিতে হবে দৃঢ়ভাবে, “ম্যায় ভারত অর পাকিস্তান কা নেহি হুঁ, ম্যায় শ্রেফ বাংলাদেশ কা নওজোয়ান হ্যায়! অর ইয়েহি রাহুঙ্গা!"

জাস্টনাউবিডি২৪

4 comments:

  1. দারুণ হয়েছে

    ReplyDelete
  2. সুন্দর একটা লেখা পড়লাম।

    ReplyDelete
  3. দারুন হইছে লেখাটা। লেখক ও প্রকাশককে জানাই স্যালুট। অসাধারন চিন্তা।

    ReplyDelete
  4. ভালো লাগল। স্বাধীকার নিয়ে আরো লেখা পাব আশা করি।

    ReplyDelete