জাস্টনাউবিডি২৪ অনুসন্ধান,
শুরু থেকেই দূর্নীতির সমালোচনা পদ্মা সেতু ঘিরে। প্রকল্প থেকে সরে গেল বিশ্বব্যাংক, জাইকা। একসময় আওয়ামীলীদের নামে দেশব্যাপী ব্যাপক চাদাবাজি শুরু হল দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নামে। সকল সমালোচনা মাড়িয়ে যখন মূল সেতুর কাজ উদ্বোধন হল ঠিক তখনই আবার দূর্নীতির অভিযোগ!
যেন পদ্মা সেতুর পিছু ছাড়ছেনা সমালোচনার অপচ্ছায়া।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তীব্র বিতর্ক। পদ্মা সেতুর নকশা প্রদর্শন করে জুনাইদ আহমেদ পলকের পোস্ট করা একটি ছবি সমালোচনার এই নতুন দ্বার খুলেছে। ছবিটি নিয়ে গুগলে সার্স করে পাওয়া যায় ভিন্ন রেজাল্ট।
পদ্মা সেতু নয় নকশাটি জাপানের টোকিও বে অ্যাকুয়া লাইনের। উইকিপিডিয়া ঘেঁটে এ ব্রিজটি সম্পর্কে জানা যায়, এটি জাপানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পশহর কাওয়াসাকি ও কিসারাজু কে সংযুক্ত করেছে। ১৪ কিলো দীর্ঘ এই জাপানী প্রকল্পটি ৪ দশমিক ৪ কিলো সেতু সংযুক্ত করেছে। যার নিচে রয়েছে ৯ দশমিক ৬ কিলো দীর্ঘ টানেল। এর একাধিক ভিডিও রয়েছে ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবে।
উইকিপিডিয়ায় বলা হয়েছে, সুদীর্ঘ ২৩ বছরের পরিকল্পনার পর নির্মিত এই সেতু ১৯৯৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর খুলে দেয়া হয়। ব্রিজটি খুলে দেয়া পর্যন্ত সর্বমোট খরচ হয়েছে ১১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বা ১ দশমিক ৪৪ ট্রিলিয়ন জাপানী ইয়েন।
এদিকে পলকের পোস্ট করা ছবিটি ইউটিউব এবং অন্যান্য ভিডিও সাইটেও পাওয়া গেছে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নামেই। তাছাড়া বাংলাদেশী বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও মিডিয়াতেও এই ছবিটি ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করতে দেখা গেছে। পদ্মা সেতুর ইউকিপিডিয়া সার্স করে দেখা যায়, প্রিভিউতে ছবিটি থাকলেও মূল বর্ননায় ব্যবহার করা হয়নি কোন ছবি।
মুক্তিযুদ্ধের পরপর দেশের দূর্ণিতির মাত্রার সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন নেতা শেখ মুজিবুর রহমান 'দেশে চোরের খনি' পাবার কথা বলে জনসমাবেশে তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। বিপরীতে অন্যান্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশকে তিনি সোনার খনি বলে আখ্যা দেন সেসময়।
প্রায় ৪০ বছর পর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে আবারও দূর্নীতিকে সর্বগ্রাসী আকার ধারন করতে দেখা যাচ্ছে। যা দেশটিতে অতীতের সকল সময়ের তুলনায় বেশি আলোচিত বিষয়।
আলোচিত পদ্মাসেতুর অর্থ বরাদ্দও বাতিল হয়ে যায় দূর্নীতির অভিযোগে। এ অবস্থায় পদ্মাসেতুর নকশা বাবদ বরাদ্দ ১৪০ কোটি টাকা লুট করে জাপানের টোকিও বে অ্যাকুয়া লাইনের নকশা চুরি করার অভিযোগটি শক্তিশালী হতে শুরু করেছে।
বিডিনিউজ২৪ জানাচ্ছে, শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা নদীর পাড়ে এক সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন 'বিশ্ব দেখুক, আমরাও পারি'।দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এই সেতু নির্মাণের পথে বিশ্ব ব্যাংকের ‘মিথ্যা অভিযোগ’ এবং নানা বাধা-বিপত্তির কথা এ অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “আমি চেয়েছিলাম, আমরা পারি, আমরা তা দেখাব।… আজ আমরা সেই দিনটিতে এসে পৌঁছেছি।” বক্তৃতার এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালি জাতি কারও কাছে মাথা নত করেনি, করবেও না।“আমরা সেই জাতি, যে জাতি সম্পর্কে জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না’, আজকেও সেটি প্রমাণিত হতে যাচ্ছে।”
জাস্টনাউবিডি২৪
(জাস্টনাউবিডি২৪ একটি স্বাধীন সুন্দর বাংলাদেশ গঠনে অঙ্গীকারাবদ্ধ। জাস্টনাউবিডি২৪ এর যেকোন লেখা, বিশ্লেষণ, সংবাদ অনুমতিহীন আংশিক বা পূর্ণ নকল করে প্রকাশ অনৈতিকতার শামিল; কপিরাট পরিপন্থীও বটে। সুন্দর আগামী বিনির্মানে সহযোগী মিডিয়াগুলো থেকে সহযোগী ভূমিকাই আশা করে জাস্টনাউবিডি২৪।)
ভেরি ফানি!!!!
ReplyDeleteচোরে চোরে ভরপুর বাংলাদেশ হা হা হা
ReplyDeletehalara ganja khaise
ReplyDeleteচোরের খনি
ReplyDelete