(সচিত্র ডকুমেন্ট গুলো ভালোভাবে দেখতে একটু অপেক্ষা করুন। আপনার ডিভাইসে লোড হতে দিন।)
১৯৭১ কে সবসময় সকলের চেয়ে অধিক গর্বের সাথে উপস্থাপন করে থাকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। সাথে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নামে পরিচিত ১৯৭১ এর যুদ্ধে নিজেদেরকে মহানায়ক হিসেবে উপস্থাপন করে তারা।
বাংলাদেশে এখন সেই আওয়ামীলীগই ক্ষমতায়। পার্শ্ববর্তী বৃহৎ রাষ্ট্র ইন্ডিয়ার সাথে বরাবরই সর্বোচ্চ সম্পর্ক ধরে রেখেছে হাসিনা সরকার। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বরের দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বাংলাদেশ অঙ্গন গর্বের সাথে পরিচালিত হলেও পার্শ্ববর্তী বৃহৎ ভারতীয় অঙ্গন থেকে সেই গর্বে গোবর লেপে দেয়া হয়েছে!
ওপাশে গোবর একটি পবিত্র শব্দ হলেও একে মলজ্ঞাণ করে চরম ঘৃণা করে বাংলাদেশের মানুষ। হতে পারে ধর্মের কারনে এই পার্থক্য। তবে কি ধর্ম নিরোপেক্ষ বাংলাদেশকে ধর্মীয় দৃষ্টিতেই দেখছে বিজেপির ভারত? তা না হলে এই অপমানের হেতু কী?
ওদিকে আরেক ধর্মীয় রাষ্ট্র পাকিস্তানও একে ধর্মীয় দৃষ্টিতে দেখতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে থাকে। ফলে ইন্ডিয়ার জয় ও পাকিস্তানের পরাজয় হিসেবে ৭১ এর ভারতীয় উপস্থাপন পাকিস্তানের চাওয়ার অনুরুপ। তবে বাংলাদেশকে কেন কলঙ্কিত করতে চাইছে বন্ধু রাষ্ট্র ইন্ডিয়া?
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মিত্রবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের অনুমুতি নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ভারতীয় বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের কমান্ডে মোতায়েন হয়। ফলে যুদ্ধের মূলপক্ষের প্রশ্নে কোন বিতর্ক থাকার কথা নয়। কিন্তু হাইজ্যাক বলেও ত একটা কথা থেকে যায়!
বৈধ ভাবে কোন কিছুর মালিক একজন হলেও হাইজ্যাকের মাধ্যমে অন্যের মালিকানায় যাবার ব্যাপার আছে। সেভাবেই আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে ভারতীয় বাধায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় এখন '৭১ কে হাইজ্যাক করে মালিকানা প্রতীষ্ঠার লক্ষ্যণ স্পষ্ট হচ্ছে বছর কে বছর।
সাথে যুদ্ধাপরাধ বিচারের নামে বিরোধী জামায়াতে ইসলামীর দাবিও বাস্তবায়িত হতে চলেছে বলেই মনে হচ্ছে। স্বাধীনতার এত বছর পর এসে অন্যতম মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী বা '৭১এর বাঘা সিদ্দিকীও তাই জামায়াতের ৭১ স্বীদ্ধান্তে একমত পোষণ করে বক্তব্য রাখছেন।
অবশ্য মুক্তিযুদ্ধের পরপরই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভারতের মুনাফেকী স্পষ্ট হবার প্রেক্ষিতে সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল সরব হয়েছিলেন। এর ফলে মুক্ত বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দীত্বও বরন করতে হয় এই সাহসী বাংলাদেশীকে।
বর্তমানে অবশ্য সহজেই উপলব্ধি করা যাচ্ছে, একাত্তর ইস্যুতে বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা এবং অনেক ক্ষেত্রেই ভয়াবহ বিপরীত। বিশেষত স্বাধীন সিক্কিমকে একীভূতকারী ইন্ডিয়ার ব্যাপারে, বাংলাদেশ নিয়ে বোধহয় এই ধারনাটির সর্বাধিক শক্তিশালী উপস্থাপন সম্ভব।
সন্দেহ নেই, ক্রমে 'গুন্ডে হয়ে ওঠা ইন্ডিয়াকে' এখনো যারা ছোট করে উপস্থাপন করে যাচ্ছেন তারা প্রকৃতই জেনে বুঝে তা করছেন।
অতীত ফেলে এবার তাহলে বর্তমান আধিপত্যে নজর দেয়া যাক! নিচের সবগুলো ফেসবুক পোস্টই ইন্ডিয়ার শীর্ষ রাজনীতিক, সামরিক ও মিডিয়া প্রতিষ্ঠান/ব্যাক্তিত্বের পোস্ট। রয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলের দৃষ্টিভঙ্গিও।
প্রতিটি পোস্টের ভাষা প্রায় একই। মুক্তিযুদ্ধে ভারত, পাকিস্তান, ভারতীয় জাতির অর্জন, ভারতীয় ভিজয় দিবস, কেবলমাত্র ভারতীয় সেনাদের তারিফ, ভারতীয় যুদ্ধলাশের তারিফ, ইন্দিরা গান্ধী, গুপ্তচর র কিংবা পাকিস্তানের ওপর ভারতের বিরত্ব ছাড়া অন্যকোন বিষয় স্থান পায়নি। ৭১ উল্লেখে- বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, শেখ মুজিব সেখানে প্রাসঙ্গিকতা পায়নি।
বিজয় দিবস যখন একতরফা ইন্ডিয়ার 'ভিজয় দিবস'। একাত্তর যখন শুধুই ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানের!!-
উগ্র হিন্দুত্ববাদের উগ্রতা এখন ইন্ডিয়ার রাষ্ট্রীয় অবস্থান!! বাংলাদেশ কোথায় লুকোবে? হিন্দুত্ববাদী অভিনয়ে নাকি নিজ ইসলামী শক্তির মৌলিকত্বে?
বাংলাদেশের জন্ম তথা মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করতে মোদী বাদ পড়ে যাবেন? কাভি নেহি!!!
অল এপ্রিসিয়েশনস গন টু ইন্ডিয়ান ফোর্সেস!
অল এপ্রিসিয়েশনস গন টু ইন্ডিয়ান ফোর্সেস!
এক ক্যাপ্টেনের হাইজ্যাক কান্ড! ভারতীয় মাতৃভূমির বিজয়??
ভারতে এদের আসল রুপ!
ইন্ডিয়ান পতাকা গাড়ার বিজয় দিবস? মুক্তিযুদ্ধ??
এ অপমান সুরের মুর্ছনায় মুর্ছা যাওয়া বাংলাদেশীদের জন্য?
ভারতের পতাকায় ঢেকে দেয়া পুরো বিজয় দিবসের কলংক!
হিরো ইন্ডিয়ান আর্মি! বাংলাদেশ কী বস্তু? মুক্তিযোদ্ধা বলে কিছুই ছিলো না!!
মিডিয়া আগ্রাষণ। ইন্ডিয়া-পাক যুদ্ধ ১৯৭১??
তেলেগু রাজ্যের জি মিডিয়ার একতরফা দাবি সম্বলিত অপপ্রচার।
সুভাস বসুর নামে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করার মহড়া!
ভারতীয় সৈন্যদের জন্য হাততালির পুরোটাই
ভারতীয় মিডিয়ার ইন্ডিয়া-পাক যুদ্ধ!
সারাদিনই বাংলাদেশের বিজয় দিবসকে কলঙ্কিত করতে বিশেষ সক্রিয়তা দেখিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে
বিজয় হাইজ্যাকের ছবি ও হাইজ্যাকের পোস্ট!
জাতীয় টিভির নোংরামী! ৭১ এ ভারতীয় জাতির বিজয় এসেছিলো?
জাতীয় টেলিভিশনের নোংরামী- ভারতের ভিজয় দিবস!!
বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ভিজয় দিবস পালন, ছোট বাংলাদেশের বিজয় চিৎকার ঢেকে দেয়ার জন্য যথেষ্ট
বাংলাদেশের সৃষ্টি করার কথাটা সম্প্রতি 'মওকা' নামের বিজ্ঞাপনেও সমালোচিত হয়েছিলো। সৃষ্টির প্রশ্নেই বাংলাদেশ উল্লেখ হয়েছে কিছু পোস্টে! সেটা ভারতীয় সৃষ্টি! বাংলাদেসের নিজস্বতা শুধু সৃষ্টি হওয়ায়। নো মুক্তিযোদ্ধা!!
বীরত্ব ভারতীয় বাহিনীর। এখানে মুক্তিযোদ্ধা নামে কিছু থাকার প্রশ্নই উঠবে না।
১৯৭১ ভারতের বিজয় দিবস??
বাংলা অঞ্চলের বিজেপির এই পোস্ট স্বাভাবিক ভাবেই ৭১ এ 'বাঙ্গালী জাতীর' মুক্তিযুদ্ধ প্রসংগে নজর কাড়বে।
ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী বিজেপি পার্টির ভ্যারিফায়েড পেজ-(ইন্দো-পাক যুদ্ধ!)
'একীভূত ইন্ডিয়া' নামের পেজ থেকে দেয়া পোস্ট নজর কাড়ার মতই-
সাবেক পাকিস্তান, বর্তমান (??)
ভারতীয় বাহিনীর প্রশংসা-
ইন্দো-পাক যুদ্ধ ১৯৭১? ভারতীয় যোদ্ধাদের প্রশংসা-
ইন্ডিয়া-পাক যুদ্ধে ইন্ডিয়ার বিজয় প্রকাশ!
গুপ্তচর র-এর শক্তিমত্তার প্রশংসা! এই র-এর ঝালের মত ছড়িয়ে থাকা এখন বাংলাদেশে একটি আলোচিত বিষয়!
পরিশেষে ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গি চাপিয়ে দেয়া ধোকাবাজীর পূনরাবৃত্তির চেষ্টা। আবারও দালালিপনায় নিয়োজিত বাংলাদেশী দালাল!
২০১৪ সালের বিজয় দিবসের সভায় শেখ হাসিনার দেখিয়ে দেয়া করদরাজ্যের পথেই কি সোনার বাংলাদেশ!!!????
উৎস
জাস্টনাউবিডি২৪
ইন্না লিল্লাহ!!!!!
ReplyDeleteআওয়ামীলীগ মুর্দাবাদ শেখ মুজিব মুর্দাবাদ দালাল গোষ্ঠী ধ্বংস হ
ReplyDeleteshorozontrokari indian dalal shob shuyor
ReplyDeleteNICE POST
ReplyDeleteআওয়ামীলীগ ইন্ডিয়ান দালাল
ReplyDeleteজয় ভারত
ReplyDeleteমালোয়ানদের আগ্রাসন রুখে দাঁড়াও মুসলমান!
ReplyDelete