কল্পনা মুখার্জীর বোধকল্প,
জাস্টনাউবিডি২৪
সম্প্রতি ফেসবুক খুলে দেয়ার পর বিজয়৭১ নামক অ্যাপ ঘিরে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে। ২২ দিন বন্ধ থাকার পর ফেসবুক খুলে দেয়া হলেও অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম এখনও বন্ধ রয়েছে।
নতুন করে বন্ধ করা হয়েছে অন্যতম শীর্ষ যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার, স্কাইপ এবং ইমো (শেষ খবর পাওয়া গেছে এই তিনটি মাধ্যম ফের খুলেছে সরকার)। আগে থেকে বন্ধ রয়েছে ভাইবারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ফেসবুক বন্ধ করে দিয়ে তাদের দক্ষীন এশীয় প্রতিনিধিদের সাথে সরকারের ৩ জন মন্ত্রীর বৈঠক ছিলো নজির বিহীন! সেখানে সরকারী স্বসস্ত্র বাহিনীর কর্তাব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন গোয়েন্দা বাহিনীর মত স্পর্ষকাতর প্রতিষ্ঠানের প্রধানও।
যোগাযোগ মাধ্যম বিরোধী সরকারের এই যখন অবস্থা ঠিক তখনই আবারও 'ডিজিটাল মাধ্যম' ও 'তরুন প্রজন্মের' ব্যানারে সক্রিয় সরকার। আসন্ন ২০১৫ সালের বিজয় দিবসকে উপলক্ষ্য করে ফেসবুক ভিত্তিক অ্যাপটি চালু করেছে তারা। বিজয় দিবস পালনের উদ্দেশ্যে নির্মিত অ্যাপে, ব্যাক্তিগত তথ্য পেতে আগ্রহী এই সরকারকে দেখা গেছে তথ্য গ্রাহকের ভূমিকায়।
ইতিমধ্যে সকল রাজনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে সরকার এবার খোদ বিজয় দিবস নিয়েও অপরাজনীতিতে মেতেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 'বিজয় দিবস পালনের নামে ব্যাক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়ার যোগসূত্র তৈরি করে সরকার নিজেকে আরো কলুষিত করেছে' বলে মতামত দিচ্ছেন অনলাইন তরুনরা। এ অবস্থাকে স্পষ্ট পরাধীনতা বলে গণ্য করছেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে ঘটা অনলাইন বিরোধী ব্যাপারগুলোকে জাতিগত 'ডিজিটাল পরাধীনতা' হিসেবে চিহ্নিত করছেন তারা। তাদের মতে একটি সরকার কখনই তার আভ্যন্তরীন নাগরিক তথ্য বিদেশীদের হাতে প্রদান করতে পারেনা।
অথচ সরকার নিজের নাগরিক তথ্য পাবার নামে জাতীয় পরিচয় পত্রের সকল ডাটা ফেসবুকের হাতে তুলে দেয়ার প্রস্তাব করেছে। ফলে ফেসবুকেই সীমাবদ্ধ থাকছে না ব্যাপারটি। নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে নাগরিকের গোপন তথ্য প্রাপ্তির নামে এখন গোটা বাংলাদেশের সকল নাগরিকের তথ্যই বিদেশী কম্পানীর হাতে তুলে দিতে চাচ্ছে তারা।
অন্যদিকে নিছক ক্ষমতার বিনিময়ে দেশের গণতন্ত্রকেও হত্যা করে ছাড়ে এই সরকার। পার্শ্ববর্তী ভারত নিজের স্বার্থে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছিলো। সম্প্রতি গুন্ডে সিনেমা অনুমোদন করে এবং ৭১ সালে এমএজি ওসমানিকে আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না দিয়ে প্রমাণ দিয়েছে তারা। তাছাড়া বাংলাদেশ বিরোধী সকল স্বার্থই তারা ইতিমধ্যে কাজে লাগিয়েছে।
স্বাধীনতা লাভের প্রথম সময়েই ফারাক্কা বাঁধ চালু করে, তার ধারাবাহিকতায় হাজার হাজার বাঁধ ও ব্যারেজ দিয়ে বাংলাদেশকে মরুভূমী করে দিচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিব নগর সরকারকে দেশবিরোধী গোপন চুক্তি করতে বাধ্য করে তারা। যা পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু বাতিল করে দেন।
এমন একটি ধারাবাহিক শত্রু রাষ্ট্রের সহায়তা নিয়ে বর্তমান সরকার ক্ষমতা কূক্ষীগত করে চলেছে। আর বিনিময়ে বিকিয়ে দিচ্ছে স্বাধীনতা ও বাঙ্গালীর বিজয়। ফলে বিজয় দিবস উদযাপনের নামে শুধু তামাশাই উপহার দিয়ে যাচ্ছে এই সরকার।
এবার যেমন ফেসবুকে বাঙ্গালী তরুন প্রজন্মকে পরাজিত করতে বিজয়৭১ অ্যাপ চালু করা হল। ঠিক সেভাবেই ফেসবুকের হাতে বাংলাদেশের নাগরিকদের সকল তথ্য প্রদান করে এ জাতিকে সকল আন্তর্জাতিক অঙ্গনেই পরাজিত করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে এই সরকার।
আবার বিগত ২০১৪ সালে এই সরকারের সুবিধাপ্রাপ্ত প্রধান ব্যাক্তি খোদ ভারতীয় পতাকা দিয়ে শাড়ি বানিয়ে পরিধান করেছেন। এটা স্পষ্ট পরাধিনতার ইঙ্গিত, যা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী অবৈধ ভাবে ক্ষমতা লাভের ১ বছরের মাথায় ভারতকে প্রদান করেছেন।
২০১৪ সালের বিজয়ের মাসে বিজয় দিবস উদযাপনের নামে রাজধানীর খামার বাড়িতে আওয়ামীলীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই ভারতীয় পতাকা পরিধান করে কার্যত পরাজয় দিবস পালন করেন প্রধান মন্ত্রী। যা চ্যানেল আই সহ গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়া গুলো প্রচার করেছিলো।
ক্রমান্বয়ে পরাজিত মনোভাবে পতিত হয়ে বর্তমান তরুন প্রজন্মের ক্ষোভ থেকেই প্রশ্নটি উচ্চারিত হচ্ছে, বিজয় দিবস উদযাপন নাকি পরাধীনতা?
জাস্টনাউবিডি২৪
(কপিরাইট)
এমন কাজও এরা করতে পারে??
ReplyDeletehasailen vai. era to aoyamilig!!!!
Deleteশিট!!!
ReplyDeleteপরাধীনতা।
ReplyDelete