গানটি অসাধারণ সৃষ্টি, প্রতিটি লাইন বাস্তবতা ও সাধারণ মানুষের আবেগ, অনুভূতি, চিন্তা-ভাবনা কেন্দ্র করে রচনা হয়েছে। ২০০১ এ শিল্পী হায়দার হোসেন কালজয়ী গানটির কথা, সুর ও কন্ঠ দিয়েছেন।গান নিয়ে কোন বিতর্ক নেই, বিতর্ক গানের মানুষটি নিয়ে। তিনি নিজেই বিতর্ক সৃষ্টি করলেন, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে।
১) গানটি রিলিজ পায় ২০০১ এ, তবে কোন মাসে রিলিজ পায় তিনি সেটা পরিষ্কার করেননি। একটি গান লিখতে, সুর করতে, রেকডিং করে সেটা বাজারে ছাড়তে কমপক্ষে মাস দুয়েক সময় লাগার কথা।
২) তিনি সাম্প্রতিক তার গান নিয়ে শাহবাগীদের আক্রমনের শিকার হয়ে একটি অনলাইন পত্রিকার সাথে সাক্ষাৎকারে
বললেন, রাজাকারের গাড়ীতে পতাকা দেখে সৃষ্ট ক্ষোভ থেকে তিনি গানটি তৈরী করেছেন।
৩) বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠন করে ২০০১ এর অক্টোবরের ১০ তারিখে। উনার ২ নাম্বার পয়েন্টের বক্তব্য সত্য হলে, গানটি ২০০২ থেকে ২০০৬ এর যে কোন সময় রিলিজ হওয়ার কথা ছিল। ২০০১ এ সম্ভব ছিলনা।
৪) গানটি অত্যন্ত মেধার সাথে তিনি রচনা করেছেন। যদি উনার ২ নাম্বার পয়েন্টের বক্তব্য সত্য হতো, তিনি গানের অন্তত ২টি লাইনের ভিতর সরাসরি রাজাকার শব্দটি বসাতে পারতেন, এটি বসানো তার জন্য কোন ব্যাপারই ছিলনা, কিন্তু গানে তা নেই।
৫) ২০০১ এর পর আরও পাঁচ বছর বিএনপি জামায়াত জোট সরকার চালিয়েছি। এই পাঁচ বছরে সকল মন্ত্রীর গাড়ীতে পতাকা উড়েছে, উনার কিন্তু ক্ষোভ আর একবারও আসেনি, বরং জামায়াতী চ্যানেল হিসাবে পরিচিত দিগন্ত টিভিতে উনি ডজনে ডজনে রাত-বিরাতে অনুষ্ঠান করে গেছেন।
৬) ১/১১ এর সরকার ক্ষমতায় আসার পর উনার সেনাবাহিনীর প্রতি অনেক প্রেম জন্ম নিয়েছে। তিনি সেনাবাহিনীকে নিয়ে তখন মেধার সাথে অনেক কালজয়ী গান রচনা করেছেন।
৭)২০১৩তে এসে উনার মনে আবার রাজাকারের প্রতি ক্ষোভ জন্ম নিয়েছে, তিনি শাহবাগে গিয়ে ত্রুটিপুর্ন বিচারের মাধ্যমে রায় হয়ে যাওয়া একটি বিচারকার্যের আইন পরিবর্তন করে ফাঁসির দাবীর সাথে সহমত পোষন করেন।
হায়দার হোসেন একজন মেধাবী শিল্পীর পাশাপাশি হাওয়া বুঝে পাল তুলে দেওয়া মানুষ। অন্যান্য শাহবাগীর মত তিনিও চেতনা চাষ করেন। চেতনার মোড়কে নিজেকে সুরক্ষিত করার জন্য তিনি বললেন, রাজাকারের গাড়ীতে পতাকা দেখে সৃষ্ট ক্ষোভ থেকে গানটি রচনা করেছেন! যা ডাহা মিথ্যা কথা।
আমরা যখন দেখি স্বাধীনতার পক্ষের কথা বলে মৎস ব্যবসায়ী মন্ত্রীরা হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে, দেশের সমস্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলে, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ভোটের অধিকার, বাঁচার অধিকার কেড়ে নেয়, পাশ্ববর্তী দেশের হাতে নিজেদের অস্তিত্ব তুলে দেয়।
পক্ষান্তরে, যাদের আপনারা রাজাকার বলেন, তাদের দূর্নীতির লেভেল জিরো বরং দৃশ্যমান ত্রটিপূর্ন বিচারের মাধ্যমে তাদের রাজাকার প্রমান করে সাজা দিতে হয়, তখন ইচ্ছে করে তাদের গাড়ীতেই বার বার পতাকা তুলে দেই।
শেষকথাঃ এখন চেতনাজীবীদের মাঘ মাস, যারা চেতনা প্রদর্শনে বেশী অগ্রসর, তারাই পেছনে থাকা চেতনাজীবীদের আক্রমন করে বসে। আমরা বরং সাপে-বেজীর লড়াইতে মন না দিয়ে দেশের সলিম উদ্দিন, কলিম উদ্দিনদের চুলায় আগুন জ্বললো কিনা! সেদিকে মন দিলেই মঙ্গল।
-এন কবির,
সামাজিক মাধ্যম ব্যাক্তিত্ব।
সামাজিক মাধ্যম ব্যাক্তিত্ব।
চেতনায় তো ভালোই ভাইটামিন আছে দেখা যায়
ReplyDeleteসব গুলো এক ঘাটে জল খায়। ভালোই ভং ধরতে পারে হালা হায়রাইররা।
ReplyDeleteshala indian dalal
ReplyDelete১০০ ভাগ সত্য কথাটা বলছেন,
Deleteধিক্কার এইসব মুখোশ আর মিথ্যাবাদিদের।
ReplyDeleteবংলাদেশের আসল শত্রু এইসব নাস্তিকগুলো
ReplyDeleteএকমত
Deleteএইসব দালালদের জুতাপেটা করলেও এদের সম্মানহানি হয়না। এগুলারে ওপেন গণধোলায় দেয়ার কাম।
ReplyDeleteআমরা বরং সাপে-বেজীর লড়াইতে মন না দিয়ে দেশের সলিম উদ্দিন, কলিম উদ্দিনদের চুলায় আগুন জ্বললো কিনা! সেদিকে মন দিলেই মঙ্গল।
ReplyDeleteএক্সিলেন্ট!!!
Ooi halar chetona dondo kata hok??
ReplyDeletehala
ReplyDeleteছি ছি ছি! তোর মুখে থুথু!!
ReplyDelete