বিগত মানবতা বিরোধী অপরাধের দন্ড কার্যকরের কথা বলে সরকার এই মাধ্যমটি হঠাতই বন্ধ করে দেয়। এরপর নানান আশংকা ও ক্ষোভের মধ্য দিয়ে তরুনরা পার করেছেন দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর। এক্ষেত্রে ফেসবুক নিয়ে সরকারী কর্মকর্তাদের দ্বিমূখী আচরন ছিলো বিক্ষুব্ধ তরুনদের নিকট বিরক্তিকর বিষয়! ফেসবুক বন্ধ করে দিয়ে সরকারী দ্বায়িত্বশীল মন্ত্রী নিজেরাই বিকল্প পথে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন নিয়মমিত।
অবশেষে খুলল বটে! তবে আশংকা কমেনি এতটুকুও। এরই মাঝে 'তথ্যপ্রদান চুক্তির' উদ্দেশ্যে সরকারী আহ্বানে বৈঠকে বসা ফেসবুকের দক্ষিণ এশীয় প্রতিনিধির সাথে সরকারের অভূতপূর্ব আচরন পুনরায় বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে তরুনদের। ফেসবুক আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকে সরকারের ৩ জন সিনিয়র মন্ত্রীর অভূতপূর্ব এই উপস্থিতি জানান দিয়েছে, যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবন্ধকতা আরোপে বর্তমান সরকার কতটা আগ্রহী। তাছাড়া অভূতপূর্ব ঐ বৈঠকে তিন মন্ত্রীর সাথে সাথে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষ কর্তারাও! যাদের বিরুদ্ধে সরকার বিরোধী সাধারন জনমতকে সসস্ত্র পন্থায় দমনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
একটি প্রভাবশালী অনলাইন পিটিশন সাইটের মাধ্যমে ফেসবুকের নিকট পৌঁছে দেয়া পিটিশনে বর্তমান সরকারের গণতন্ত্র ও মুক্তমন বিরোধী কার্যকলাপ তুলে ধরা হয়েছে তরুনদের পক্ষে। তরুনদের আশা তাদের ব্যাক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা লংঘনের প্রক্রিয়ায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের অনির্বাচিত সরকারটির সহযোগী হবেনা।
অন্যদিকে ব্যাক্তিগত তথ্য প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের সকল ডাটা একটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানের নিকট হস্তান্তর প্রক্রিয়া জাতিগত নিরাপত্তাহীনতা ডেকে আনবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। 'একটি জাতি কখনো নিজেদের জাতীয় নাগরিক তথ্য বহিঃরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ন্যাস্ত করতে পারেনা' মত দিচ্ছেন নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্নরা। ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে চলমান সরকারী নিপীড়ন সহসাই বন্ধ হচ্ছেনা বলেই মনে করছেন তারা।
ফলে ফেসবুক উন্মুক্ত হলেও একটি পরাধীনতার আবহের মাঝেই সরাসরি ফেসবুকে প্রবেশ করল বাংলাদেশের তরুন প্রজন্ম।
জাস্টনাউবিডি২৪
No comments:
Post a Comment