শিরোনাম

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Dec 18, 2015

বিজয় দিবসে ভারতের আগ্রাসনঃ স্বাধীন সিরাজুদ্দৌলার উত্থান ভয়ে দখলদার ইন্ডিয়া !?

জাস্টনাউবিডি২৪ বিশ্লেষণ,
ছবি, অনলাইন বাংলা পত্রিকা থেকে সংগ্রহকৃত এবং সংযোজিত।
("উপমহাদেশে বহু স্বাধীন রাষ্ট্রের দখলদার ব্রিটিশরা। হানাদার ব্রিটিশদের সামরাজ্যবাদী উত্তরসূরী বর্তমান ভারত। বর্তমান সামরাজ্যবাদী শক্তি ভারতীয় দখলদারিত্বের পথে স্বাধীন বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় হুমকি। কারন বাংলাদেশই স্বাধীন সুবে বাংলার পথে হাঁটা শিশু রাষ্ট্র। আর এই রাষ্ট্রই ভারতীয় উপমহাদেশের সকল জতীগোষ্ঠীকে পুনরায় স্বাধীনতার পথে দেখায়।দখল হয়ে যাওয়া উপমহাদেশের স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোর পূনরাভীর্ভাবে স্বাধীনচেতা নবাব সিরাজ-উদ-দ্দৌলার প্রয়োজন। আর সিরাজের আগমন কেবল বাংলাদেশেই হতে পারে। বাঙ্গালীদের জন্য ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বর্তমান রুপ হল সামরাজ্যবাদী ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই।")
"স্বাধীন সিরাজুদ্দৌলার উত্থান ভয়ে দখলদার ইন্ডিয়া !?"

-আজ অবধি এ প্রশ্ন উঠতে দেয়া হয়েছে কখনো? আমরা জানি, হয় নাই। মুক্তিযুদ্ধের অমর সেনানী যারা, তাঁদের জবান বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো বলেই, '৭১ নিয়ে ভারতের শত্রুতা বিশ্লেষণ করে, এমন প্রশ্নের উদ্ভব হয় নাই। হতে দেওয়া হয়নাই।

লাহোর প্রস্তাবে শেরে-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক বাঙ্গালী জাতিসত্ত্বার প্রতিনিধি হিসেবে সুবে বাংলার ধারনায় স্বাধীনতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ধর্মভিত্তির ভারত কিংবা পাকিস্তান শুধু নয়, জাতিগত শক্তিশালী উপাদানের অধিকারী হিসেবে, ইংরেজদের হাতে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চলে যাওয়া স্বাধীন সুবে বাংলাও '৪৭ এ স্বাধীনতা প্রাপ্তির অন্যতম দাবিদার ছিলো।

অথচ সেই দাবিকে ধর্মব্যবসায়ী স্বামরাজ্যবাদের নামে ষড়যন্ত্র করে থামিয়ে দেয়া হয়। বাংলার মুসলিম ও হিন্দু নেতারা প্রচেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। একমাত্র কারন, ধর্মনিরোপেক্ষতার আড়ালে চলা হিন্দু নেতাদের হিন্দুত্ববাদ চর্চা ও ষড়যন্ত্রের বৈধতা। ফলে বাঙ্গালী হিন্দু নেতারা বাঙ্গালিত্বের ওপর তাদেরই (সাবেক!?) 'বাংলা মা' কে বিসর্জন দিতে সম্মত হয়ে পড়েন। আর সম্মতি আদায় করেন হিন্দি নেতারা, বিশেষত গান্ধী।

ফলে সুস্থ মস্তিস্কে যারা বাংলাকে মা মেনে ব্রিটিশ বিরোধী বঙ্গবঙ্গ আন্দোলনের মাধ্যমে (প্রকৃত পক্ষে, মুসলিম বিরোধী) অবস্থান জানিয়েছিলেন, হিন্দু বাঙ্গালীর প্রতিনিধি হয়ে কালান্তরে তারাই নিজ 'মায়ের' গলার ছুরি চালাতে দ্বিধা করেননি।

এসবই চলেছে ইংরেজদের সামরাজ্যবাদের দখলদার হতে চাওয়ার লোলুপ মনভঙ্গির কারনে। ইন্ডিয়া কখনই একক রাষ্ট্র নয়। ছিলোনা। অথচ তাকেই একক রাষ্ট্র করে লুটপাটের বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে প্রথম গোটা উপমহাদেশ ও পরবর্তীতে দুই রাষ্ট্রের নামে সংখ্যাগরিষ্ঠ দুই ধর্মকে ভিত্তি করা হল।

ফলে তাবৎ গোলামীপূর্ণ আলোচনাগুলো সেটাকে কেন্দ্র করেই! জাতিগত স্বার্বভৌম সামরাজ্যগুলোকে দলিত করার, একই সাথে ইংরেজদের ২০০ বছরের জুলুমতন্ত্র ও ষড়যন্ত্র গুলোকে বৈধতা দেয়া! ফলে বিনা প্রতিবাদে নেতৃত্বের মাধ্যমে স্বাধীকারগুলোকে জিম্মি করতে সক্ষম হয়েছে ষড়যন্ত্রকারী ব্রিটিশরা। সেরকম পরিস্থিতিতেও স্বাধীনতা ফিরে পাবার একমাত্র শক্তিশালী উচ্চারণ ছিলো বাঙ্গালীদের মাঝে।

প্রথমত ১৯৪৭ সালে সেই তৎপরতাকে হত্যা করেছেন গান্ধীর নেতৃত্বাধীন গোপন হিন্দুত্ববাদীরা। দ্বিতীয়তা সেই তৎপরতাকে হরন করা হয়েছে ১৯৭১ সালে। সেই ভারতীয় হিন্দুত্ববাদের বেনিফিশারিদের দ্বারাই! (উল্লেখ্য ধর্মীয় হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদ এক নয়। উগ্রবাদী গোষ্ঠী ধর্মকে ভিত্তি করে কিন্তু কোন ধর্মই তাদের গ্রহণ করেনা।)

মূলত, '৪৭ এর অদম্য জাতিগত বাসনার প্রকাশ থেকেই '৭১ এর বাঙ্গালী মুক্তিযুদ্ধের স্বার্বজনীন প্রকাশ হয়েছে। আর এই যুদ্ধের সমাপ্তি হতে পারে একমাত্র সুবে বাংলার হারানো স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে।

অথচ উপমহাদেশের ইংরেজ ষড়যন্ত্রের এক বেনিফিশারী পাকিস্তান থেকে এই বাঙ্গালী স্বাধীকার আন্দোলন যখন আরেক ভূমিখোর ভারতের বিরুদ্ধে নবযাত্রা করতে যাবে, ঠিক সেই মুহুর্তেই একে থামিয়ে দেয়ার জন্য ভারতীয় আগ্রাসন শুরু হয়।

একদিকে সামরাজ্যবাদের উত্তরাধিকারীরা নিজেদের মাঝে সাপ মারার অপউদ্দেশ্যে 'সামরাজ্য ভাঙ্গা' এবং অন্য দিকে লাঠি বাঁচাবার উদ্দেশ্যে বাঙ্গালী মুক্তিসংগ্রামীদের বিরুদ্ধে স্বরুপে আবির্ভূত ইন্ডিয়ার এসব নোংরামো গোপন কিছু নয়।

মুক্তিযুদ্ধের পর বাঙ্গালী সংগ্রামের সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানিকে আত্মসমর্পন অনুষ্ঠান থেকে ফিরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে সংগ্রামকে হাইজ্যাক করে, একে বাঙ্গালীর জাতীগত বিষয় থেকে ভারতীয় কৃত্রিম জাতীয়তার দিকে নিয়ে যাবার ষড়যন্ত্র করে।

একদিকে বাঙ্গালীর মুক্তির পানে অগ্রযাত্রাকে '৭১ এ রুদ্ধ করা এবং অন্যদিকে ১৬ ডিসেম্বর সাবেক সুবে বাংলার প্রাথমিক বিজয় দিবস উদযাপনের উৎসবকে ব্ল্যাকমেইল করে, ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের জেলে বন্দী বাকী সুবে বাংলার মানুষকে ঘুম পাড়িয়ে রাখার ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে।

পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশ নামক সুবে বাংলার অস্তিত্বকে অপহরন করে ভারতভুক্ত করার প্রচেষ্টা তীব্র বেগে এগিয়ে নিতে চাচ্ছে।

এ কারনে পরিকল্পিত গণহত্যা চালিয়ে বাংলাদেশে প্রতীষ্ঠা করেছে পুতুল সরকার। যে সরকার প্রধানের পিতা নিজেই ভারতীয় ব্ল্যাকমেইলিং প্রক্রিয়া এড়িয়ে ওআইসি তে যুক্ত হবার দ্বারা প্রথম স্বাধীনতার চপেটাঘাত করে ভারতীয় ষড়যন্ত্রে নিহত হন।

সেদিন ভারতীয় শক্তিশালী র এই ঘটনার মৌলিক বেনিফিশারী হিসেবে নিশ্চুপ থেকে সবই হতে দিয়েছে। এরপর পরই কু পাল্টা কু এর মাধ্যমে দেশাত্মবাদ ও র এজেন্টদের বেনিফিশারী তৎপরতার শেষটা র এর পাতে যায়নি। যার জন্য আবারও নেপথ্য র নিজেদের হাতে সব কিছু গুছিয়ে নিতে সময় নিয়েছে।

আজ, বাঙ্গালীর মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বড় নাখোশ সাম্রাজ্যবাদের নাম ভারত। '৭১ তাদের শত্রুকে একটি চপেটাঘাত করেছে কিন্তু বিনিময়ে অবৈধ গৃহপোড়ার অপেক্ষা তৈরি করেছে।

ষড়যন্ত্রকারীদের হিসাব তারা করতেই পারে। তাই বলে ঐতিহাসিক স্বাধীনচেতা অজেয় জাতি নিজ হিসাব থেকে বহু দিন বিরত থাকতে পারেনা। স্বয়ং বিশ্ব শয়তান চেঙ্গিস খা-ও দমাতে পারেনি।

মূলত, ১৬ ডিসেম্বর শিশু বাংলাদেশের 'বিজয় দিবস' কিংবা অবৈধ ভারতের 'ভিজয় দিওয়াস' নয়। ১৬ ডিসেম্বরের সুপ্ত তাৎপর্য হল, সুবে বাংলার স্বাধীকারের পথে বাঙ্গালীর অগ্রযাত্রা। ফলে বাঙ্গালী রাজনীতিবিদদের মাঝে উচ্চারন করেছেন- 'বাঙ্গালীর যুদ্ধ অসমাপ্ত', তারাই সামরাজ্যবাদীদের বুকে চূড়ান্ত আঘাত করেছেন।

আর এটা স্বাধীনতার সুপ্ত চেতনা। বহু বছরও তা ধিকি ধিকি জ্বলতে থাকে!

সুবে বাংলার দিকে যাত্রা করা বাঙ্গালী জাতির অসমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধের প্লাটফর্ম- বাংলাদেশ। বাংলাদেশ থেকে সুবে বাংলার বুৎপত্তি হবে বলেই ১৬ ডিসেম্বর 'সুবে বাংলার বিজয় দিবস'।

'৭১ নিয়ে পাকিস্তানী কিংবা ইন্ডিয়ানরা যতই চাতুরিপনা করুক, অনলাইনে সকল হ্যাশট্যাগের নির্জাস হল #Soob-e-Bangla #BijoyDibosh #1971 #1757 #Polashi #NobabShiraj-ud-Doula

মুক্তিযুদ্ধকে ঢেকে দেয়া যাবেনা।
মুক্তিযুদ্ধ তো মুক্তির উদ্দেশ্যে যুদ্ধ।




জাস্টনাউবিডি২৪

5 comments:

  1. দারুন নিউজ!

    ReplyDelete
  2. ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম! পিক ইট আপ দাদা।।

    ReplyDelete
  3. ঐতিহাসিক বিষয় বলেছেন। দারুন!

    ReplyDelete
  4. একটু কঠিন লেগেছে লেখাটা। তবে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এনেছেন লেখক।

    ReplyDelete
  5. খুব ভালো লিখেছেন, ধন্যবাদ।

    ReplyDelete