শিরোনাম

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Dec 18, 2015

বিজয় দিবসে ভারতীয় আগ্রাসনের ব্যাপারে কিছু বললেন বটে!!

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
জাস্টনাউবিডি২৪,


৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ওপর ভারতীয় আগ্রাসনের ব্যাপারে অবশেষে মুখ খুলল তথাকথিত স্বাধীনতার পক্ষশক্তি। চ্যালেন আই এর অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত, ১৭ ডিসেম্বরের এই রিপোর্টটিই হয়তো, ভারতীয় বিজয় দিবস আগ্রাসনে মৌনতা অবলম্বনকারী পক্ষটির অবস্থান পরিস্কার করল।

সুস্পষ্ট ভারতীয় পক্ষাবলম্বনকারী প্রতিবেদনটিতে, বাংলাদেশী তরুন প্রজন্মের স্বাধিকার উদ্বেগ কে প্রধানত 'অপমান' করা হয়। বিজয় দিবসে ভারতীয় আগ্রাসনের কারনে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠা তরুনদের 'পাকিস্তানপন্থী' হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে সেখানে।

যদিও ঐ মৌনপক্ষ ঘরানার আরেক সংবাদ মাধ্যম বাংলামেইল, মুক্তিযুদ্ধ আজো ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘ইন্দো-পাক যুদ্ধ’! - শিরোনামে বাঙ্গালীদের হতাশা প্রকাশক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে ভারতীয় মিডিয়ার সচিত্র নির্লজ্জতা প্রকাশ করা হয়।


অথচ চ্যালেন আইয়ের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিজয় দিবস নিয়ে ভারতীয় মিথ্যাচারের বিরোধীতাকারী ও উদ্বিগ্ন বাংলাদেশীদের ব্যাপারে এমন ভাবে বলা হয়েছে যেন, ''বাংলাদেশে এই অপপ্রচারদৃশ্য তুলে ধরে তরুনরা 'সানন্দে ভারতের এই অপপ্রচারটি' গ্রহন করেছে''!

অনলাইনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির নতুন মিশন শিরোনামের প্রতিবেদনটি তে বলা হয়- "ভারতীয় গণমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’র একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ও সূচনাকে পুঁজি করে প্রচার করা হচ্ছে, ১৬ ডিসেম্বর ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলো পাকিস্তান।"

সেই প্রতিবেদনে দেশের একজন বিতর্কিত ব্যাক্তিত্ব মুনতাসির মামুন ও তথাকথিত মঞ্চনেতা ইমরান সরকারের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। সেখানে তারা ভারতের আগ্রাসনে কোনরুপ বিরোধীতা না করে তাদের চিহ্নিত বায়বীয় শত্রুদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন।

উপরন্তু 'বাংলাদেশের বিজয় দিবসকে' খন্ডিত করার প্রয়াস পেয়েছেন জনাব মুনাতাসির মামুন। ৭১ এ বাঙ্গালীর মুক্তিসংগ্রামের শেষ পর্যায়ে অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা 'সাহায্যকারী' ভারতীয় বাহিনীর পক্ষ নিতে গিয়ে, পাক বাহিনীর পূর্বকমান্ড ও পশ্চিমকমান্ডের নিকট আলাদা ভাবে আত্মসমর্পনের কথা বলে, স্বয়ং মুক্তিযুদ্ধকে খন্ডিত করার সহযোগী হয়েছেন তিনি। পশ্চিম কমান্ডকে ভারতের হাতে ও পূর্ব কমেন্ডকে 'যৌথ বাহিনীর' হাতে আত্মসমর্পনের উল্লেখ দ্বারা 'মুক্তিসংগ্রামের একচ্ছত্র অর্জনকারী' হিসেবে কৌশলে ভারতের কথাগুলোই উচ্চারন করার সাহস দেখিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে ইমরান সরকার সেটাই এগিয়ে নিয়ে, “শুধু ভারত কেনো, বিশ্বের যেকোনো দেশ বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপন করতে পারে” বলে ভারতের আগ্রাসনে বৈধতা দিলেন। এড়িয়ে গেলেন ভারতের একচ্ছত্র প্রচারনা- 'ভারতের ভিজয় দিবস' বাক্যকে, 'ভারতীয় জাতির বিজয়' বলা ইন্ডিয়ান অপপ্রচারকে!

যেখানে বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, যুক্তিযোদ্ধা কিংবা শেখ মুজিব অনুপস্থিত!! তার বদলে ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান জাতি, গুপ্তচর র, ইন্দিরা গান্ধী, পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ প্রচার হচ্ছে!!


১৬ ডিসেম্বর কেবল 'ইন্ডিয়া টুডেই' নয়, সারা ভারতের প্রায় সকল প্রভাবশালী মিডিয়া, সামরিক, রাজনোইতিক বিভিন্ন ব্যাক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠান একযোগে বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব লংঘন করেছে। অথচ বিষয়টিকে একেবারে ফালতু পর্যায়ে নিয়ে একমাত্র ইন্ডিয়া টুডের নামে খেলো করে উপস্থান করা হল চ্যানেল আই এর ঐ প্রতিবেদনে!

সেখানে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী তরুন প্রজন্মকে 'অনির্ভরযোগ্য সূত্র'(?) ও 'অপপ্রচারকারী' আখ্যা দিয়ে, মুনতাসির মামুনের বক্তব্য হল-
“নতুন প্রজন্ম অনির্ভরযোগ্য কোনো মাধ্যম থেকে ইতিহাস শিখবে না। তাদেরকে ইতিহাস জানতে হলে প্রচুর পড়তে হবে। আর অপপ্রচার তো ইতিহাসে স্থান পাবে না। দলিল, তথ্যসহ একটি মীমাংসিত বিষয় নিয়ে নতুন করে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। পশ্চিম রণাঙ্গনে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ চলছিলো। সে যুদ্ধে পশ্চিম রণাঙ্গনে পাকিস্তান সরাসরি ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু পূর্ব রণাঙ্গণে বিষয়টি ছিলো সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময়ে পূর্ব রণাঙ্গনে যৌথবাহিনীর সঙ্গে পাকিস্তানের যুদ্ধ হচ্ছিলো। এই যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পাকিস্তানি বাহিনী পূর্ব রণাঙ্গনে যৌথবাহিনীর কাছেই আত্মসমর্পণ করে”।

মারাত্মক সংস্কৃতি আগ্রাসন, পানি আগ্রাসন, ভূমি আগ্রাসন এবং সিমান্তে ভারতীয় ক্রমিক আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে সকল তরুনের উদ্বেগকে 'মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা' আখ্যা দিয়ে ইমরান বললেন
“সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করলেও বর্তমান সময়ে স্বাধীনতা বিরোধীরা জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয়ে কৌশল পাল্টেছে। অপপ্রচারকারীরা বলছে তারা বাংলাদেশের পক্ষে! কিন্তু ভারত নাকি আধিপত্য করছে। আধিপত্য প্রমাণে তারা নানা উদাহরণ ও মিডিয়ার ভুল সংবাদও হাজির করছে”।


এসব আগ্রাসনের ভুরি ভুরি উদাহরন দেখতে ফেসবুকে হ্যাশ ট্যাগে #VijayDiwas শব্দ দুটি লিখে সার্স করতে পারেন
পুরো রিপোর্টে তাদের স্পষ্ট দ্বিচারিতা প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে বারবার 'বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ' বলা হলেও পরক্ষনেই ভারতীয় উদ্ধৃতি থেকে মুক্তিযুদ্ধে প্রথমত ভারতীয় বাহিনী ও দ্বিতীয় শ্রেণী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের শেষ উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধে বাঙ্গালীদের প্রভাবকে খাটো করা এই উপস্থাপনাকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে দৃষ্টিকটু ভাবে।

আত্মসমর্পনের অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর পক্ষে এদেশের সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানির আগমন পথে ভারতীয় বাহিনীর সৃষ্টি করা বিড়ম্বনার বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই সাথে ওসমানির অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে তথাকথিত 'বাংলাদেশের প্রতিনিধির' পেছন সাড়িতে দাঁড়িনোয় ভারতীয় আগ্রাসনকে স্থায়ী রুপ দেয়ার প্রচেষ্টা এবং বর্তমানে সেই আগ্রাসনের চূড়ান্ত বাস্তব রুপকে, নির্লজ্জতার সাথে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

ভারতীয় ছবি আগ্রাসনকে বৈধতা দিতে ইমরান সরকারের মুখে বলানো হয়েছে 'ক্লোজ ছবির' কথা! গুরুতর প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে, 'কেন মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের ৯ মাসের অর্জন মুক্তিযুদ্ধে 'ক্লোজ' না হয়ে স্বল্প সময়ের ভারতীয়দের সাপেক্ষে দূরে পড়ে গেলেন'?

সবশেষে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তরুন প্রজন্মের সচেতন অবস্থানকে 'মিত্রশক্তি' নামক হাইজাকার ভারতের বিরুদ্ধে 'স্বাধীনতা বিরোধী অবস্থান' হিসেবে বর্ননা করা হয়েছে ঐ প্রতিবেদনে!




এ বিষয়টিতে নজর রাখা একজন প্রখ্যাত রাজনৈতিক বিশ্লেষক নাম গোপন রেখে বলেন-

"অপউদ্দেশ থেকেই একদিকে মুক্তিযুদ্ধকে বাংলাদেশের যুদ্ধ হিসেবে প্রমাণে দৃঢ়তা ও একই সাথে অন্যক্ষেত্রে ভারতীয় আগ্রাসনকে ঢেকে দেয়ার অপতৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে এই প্রতিবেদনে। যদিও মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের দালিলিক প্রমান গুলোকে তারা হাইজ্যাকার ভারতের দিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে না ছুড়ে, মুক্তি আকাংখীদের বিরুদ্ধেই প্রয়োগ করতে চেয়েছে।

এড়িয়ে গেছে বাস্তবতা এবং স্পর্ষকাতর সকল বিষয়। একই সাথে আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানের প্রকৃত চিত্র লুকানো ইন্ডিয়ার ব্যাপারে শুধু 'ক্লোজ দৃশ্য' বলে দায় এড়িয়ে গেছে তারা। শুধু তাই নয়, ইন্ডিয়ার ক্রমিক আগ্রাসনে মৌনতা অবলম্বনকারী কেউ কেউ বিজয় দিবস সম্পর্কে ভারতীয় আগ্রাসনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে, একে 'মীমাংসিত বিষয়' বলে কার্যত ভারতের 'ভিজয় দিবসের' স্বীকৃতি দিতে তৎপর হয়েছেন!", যোগ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, বিজয় দিবস নিয়ে ভারতীয় অপপ্রচার ইস্যুতে প্রচন্ড রকম মৌনতা অবলম্বনকারীদের পক্ষে, সবচেয়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে চ্যানেল আই এই বিষয়টিকে কাভার করল। সেই সাথে বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্বের প্রশ্নে নিশ্চুপ থাকা ব্যাক্তিদের অবস্থানও তুলে ধরল তারা।


বিজয় দিবসে ইন্ডিয়ান আগ্রাসন নিয়ে জাস্টনাউবিডি২৪ এর জনপ্রিয় সচিত্র প্রতিবেদনের লিঙ্ক-
১- সচিত্র অগ্রাসনঃ বাংলাদেশের বিজয় দিবসে দিনভর কলঙ্ক লেপন করল ইন্ডিয়া!!! 
২-                যে কারনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভয় ভারতীয় শাসকদের 



জাস্টনাউবিডি২৪
(কপিরাইট)

3 comments:

  1. এই দালালগুলো বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে

    ReplyDelete
  2. ওহে আল্লাহ! আমদের হেফাজত কর এইসব মুশরিকদের দালাল থেকে!

    ReplyDelete
  3. এই মালাউন গুলোই মূল শত্রু!

    ReplyDelete