শিরোনাম

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Dec 15, 2015

বিজয় দিবসের আগেও খুন করল পুলিশ?

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি,
জাস্টনাউবিডি২৪


মাত্র ক ঘন্টা পরই বিজয় উৎসব! বাংলাদেশ জুড়ে চলছে বিজয়ের প্রস্তুতি। আয়োজনে ব্যাস্ত বাংলাদেশেই আবার ফুটল মরন গুলি। মারা পড়ল রাজনৈতিক ব্যাক্তি।

ঘটনাস্থল চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড।

নিহত জামায়াত নেতা মোহাম্মদ ওসমান গণি ২৮ বছর বয়স্ক। স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, ইতিপূর্বে মোট ত্রিশটি মামলা মোকাবেলা করে সম্প্রতি আদালতের জামিন নিয়ে বাড়ি অবস্থান করছিলেন ওসমান।

জামিন পরবর্তী স্বাভাবিক জীবনের মাঝেই দুপুরে খাবার গ্রহনপর্বে ঘটনা। স্থানীয় সূত্র বলছে, ঐ সময় সীতাকুন্ড থানার এসআই ইকবালের নেতৃত্বে বাড়ি ঘিরে ফেলে বিপুল পুলিশ।

হঠাত পুলিশের উপস্থিতির কারনে ক্রসফায়ার আতংকে বাড়ির পেছন দরজা দিয়ে পালাচ্ছিলেন তিনি। এসময় ওসমানের উদ্দেশ্যে কোন শব্দও করেনি পুলিশ।

না কমান্ড, না হুমকি! ঠান্ডা মাথায় ওসমানের গমন বরাবর গুলি। গুলিবিদ্ধ দেহ পড়ে গেলে ইকবালের নেতৃত্বে থাকা পুলিশ দল শটকে পড়েন।

পুলিশের প্রস্থানের পর গ্রামের মানুষেরা ওসমানের আহত দেহ নিয়ে হাসপাতালে রওনা হয়। পথেই মারা যায় ওসমান।


ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় বিপুল পুলিশ ঘিরে রেখেছে এলাকা। লোকজনের মাপা পদক্ষেপ। স্তব্ধ গ্রামে শোক ও ভয় মিশ্রিত পরিবেশ।

সরাসরি পুলিশের গুলি দেখে বাকরুদ্ধ বয়বৃদ্ধরা শিশুদের ঘরে আটক রেখেছেন। এ পরিবেশে বিপুল সংখ্যক পুলিশের এলোমেলো বুটের শব্দ।

থমথমে পরিস্থিতির বিষয়টি অবহিত করলে সীতাকুন্ড থানার অফিসার ইনচার্জ ইফতেখার দাবি করেন, সম্পূর্ণ 'ভুলের' কারনেই নিহতের ঘটনা ঘটেছে।

নিহত ওসমানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পথে ওসমানের আত্মীয় স্বজনরা পুলিশকে বাধা দেন। সেসময় অসাবধানবশত একজন কন্সটেবলের শর্টগানের গুলি লেগে যায় ওসমানের দেহে, দাবি করেন এই কর্মকর্তার।


বেশ ক'বছর থেকেই বাংলাদেশে রাজনৈতিক গণহত্যা এবং গুপ্তহত্যার পাশাপাশি ব্যাপক ভাবে ঠান্ডামাথায় পুলিশী হত্যা কথিত ক্রসফায়ারের খবর বেরুচ্ছে।

যদিও বৈশ্বিক তীব্র সমালোচনার ঘটনায় সম্প্রতি এটা কমে আসতে দেখা যাচ্ছিল।


বিজয় দিবসের মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে এমন নৃশংসতাকে 'পুলিশের বিজয় দিবস উদযাপনের' সাথে তুলনা করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের এহেন 'বেআইনী তৎপরতাকে' বাংলাদেশের জন্য 'একটি সাধারন ঘটনা' হিসেবেও বর্ননা করলেন তারা।

বর্তমানে আতংকিত ঐ এলাকাটিকে 'নিরাপত্তার খাতিরে' ঘিরে রাখা হয়েছে বলে জানানো হচ্ছে পুলিশের তরফে।

দেখার বিষয়, দেশটির জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিজয় উৎসবের আগ মুহুর্তে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় নিরব প্রতিক্রিয়ায় কোন পরিবর্তন আনে কিনা।

জাস্টনাউবিডি২৪
(কপিরাইট)

4 comments:

  1. বিচার হবে শকুনের বাচ্চারা রেডি থাকিস!!!!!!!!!

    ReplyDelete
    Replies
    1. ঠিক বলছেন ভাইয়া

      Delete
  2. এভাবে মানুষ মেরে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। সৈরাচার কখনও টিকে থাকনা।

    ReplyDelete
  3. মুজিব চিল্লাইতাছে আর হাসিনা খুন করতাছে। শালা জারজ লীগের বাচ্চারা

    ReplyDelete